কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ রুখতে কঠোর প্রশাসন, বন্ধ করা হলো ইন্টারনেট

২০২১ সালের মতো কৃষকরা ফের নতুন করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে।

কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ রুখতে কঠোর প্রশাসন, বন্ধ করা হলো ইন্টারনেট

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিতকরণ সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা। ২০২১ সালের মতো কৃষকরা ফের নতুন করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারও আগেভাগে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চায়। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা, কিষাণ মজদুর মোর্চা-সহ কৃষকদের ২০০টির বেশি সংগঠন এই দিল্লি চলো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিক্ষোভ করবেন কৃষকরা। তার আগের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ইউনাইটেড কিষাণ মোর্চা (অ-রাজনৈতিক) এবং কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটিকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। হরিয়ানায় রয়েছে বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। হরিয়ানা সরকার ঘোষণা করেছে, বিভিন্ন জেলায় ১৩ ফেব্রুয়ারি অবধি বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা লাগু থাকবে।ইন্টারনেট, একসঙ্গে অনেক মেসেজ পাঠানো বা বাল্ক এসএমএস, সমস্ত ডঙ্গল সার্ভিস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কৈথাল, জিন্দ, হিসর, ফতেহাবাদ, সিরসা-সহ বেশ কিছু জেলায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬ টা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ভয়েস কলের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি সরকারি নির্দেশিকায়। অম্বালা সহ একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সীমান্তগুলিতে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি পুলিশ।  

সাধারণ মানুষকেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আপাতত পাঞ্জাবে যেতে বারণ করা হয়েছে। দিল্লি-গাজিপুর সীমানায় ব্যারিকেড লাগিয়েছে পুলিশ। মিছিল আটকানোর প্রস্তুতি হিসেবে শনিবারই টিয়ার গ্যাস চালানোর অনুশীলন করেছে পুলিশ। উত্তর দিল্লির যমুনা খদর এলাকায় এই অনুশীলন চলে। এই প্রসঙ্গে কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল একটি ভিডিও বার্তায় সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "একদিকে সরকার আমাদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, অন্যদিকে তারা হরিয়ানায় আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। সীমানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। সরকারের কি ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করার অধিকার আছে? এই অবস্থায় আলোচনা হতে পারে না"। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে