বামজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
প্রথম নিউজ, ঢাকা : পল্টন মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে থেমে যায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিপল্টন মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে থেমে যায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচি
‘দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, খেলাপি ঋণ, ব্যাংক ডাকাতি রোধ, দুর্নীতিবাজদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং দুর্নীতিবাজ, ঋণ খেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের গ্রেফতারের’ দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরা কর্মসূচি পালনে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশ শেষে জোটের নেতারা মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে যেতে চাইলে পল্টন মোড়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় সড়ক ব্যারিকেড ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশের অনুরোধে পল্টন মোড়েই অবস্থান নেন জোটের নেতারা।
সেখানে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকারি দলের নেতারা বলেছেন, সরকার নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। বেনজীর সাহেব যখন পুলিশ প্রধান এবং র্যাবের আইজিপি ছিলেন, তখন তিনি অবৈধভাবে সাতটি বেসামরিক পাসপোর্ট করেছেন। তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নমুনা দেখা গেছে?’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দল ও বিভিন্ন সংস্থা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে। দুদক যখন বেনজীরের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছিল, তখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না। এটা প্রত্যক্ষভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেওয়ার শামিল।’
তিনি জানান, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও বিচার, অর্থপাচার রোধ, খেলাপি ঋণ উদ্ধারসহ নানা বিষয়ে জোটের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে। আগামী ১৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
একই দাবিতে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন জোটের নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মহানগরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় এবং জেলায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
মিছিলে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে রমনা জোনের শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আমাদের মূল বিষয় বাধা দেওয়া না, আমরা সমন্বয় করেছি নেতাদের সঙ্গে। তাদের শুধু একটি ব্যারিকেড দিয়ে পল্টন মোড়ে থামিয়ে দিয়েছি। এখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।