ওজন মাপার আগে যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খাবার নিয়ন্ত্রণ করেন, কখনো কিছু খাবার পুরোপুরি বাদ দেন। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও ওজন কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। অনেকের জন্য এটি হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ওজন কমানোর উৎসাহ কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুল সময়ে ওজন পরীক্ষা করা এর একটি বড় কারণ হতে পারে।
চলুন, জেনে নিই কয়েকটি কারণ যার জন্য ওজন বেশি দেখাতে পারে।
সন্ধ্যায় ওজন পরীক্ষা করা
সন্ধ্যায় ওজন পরীক্ষা করলে তা বেশি দেখাতে পারে। সারাদিনের খাবার ও পানি গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন জমা হয়। তাই এই সময়ে ওজন পরীক্ষা না করাই ভালো।
ওয়ার্কআউটের পরে ওজন পরীক্ষা
উচ্চ তীব্রতার ব্যায়াম, ওজন প্রশিক্ষণ বা শক্তি প্রশিক্ষণের পরে শরীর পানি ধরে রাখে, প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং গ্লাইকোজেন সঞ্চয় করে। এর ফলে ওজন সাময়িকভাবে বেশি দেখায়। তাই ওয়ার্কআউটের ঠিক পরে ওজন পরীক্ষা করা এড়িয়ে চলুন।
ভারি খাবারের পরে
আগের রাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট বা চিনিযুক্ত খাবার খেলে শরীরে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে।
এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
পিরিয়ডের সময়
মাসিকের সময় হরমোনের ওঠানামা, শরীরে পানি ধরে রাখা এবং ফোলাভাবের কারণে ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দেখায়। এই সময়ে ওজন পরীক্ষা করা এড়ানো উচিত।
অতিরিক্ত চাপ বা ঘুমের অভাব
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
ওজন পরীক্ষার সঠিক সময়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওজন পরীক্ষার সেরা সময় হলো সকালে, ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমের পর, ওয়াশরুমে যাওয়ার পর এবং খালি পেটে।
এই সময়ে শরীরের ওজন সবচেয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা