প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব চক্র থানার বিভিন্ন সেবা সহজে পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা গেছে, কালকিনি থানার সামনে অবস্থিত কয়েকটি কম্পিউটার দোকান থেকেই এসব প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জিডি কিংবা অভিযোগপত্র কম্পোজ করতে আসা অভিজ্ঞতাহীন মানুষদের ফাঁদে ফেলে এক শ্রেণীর দালাল দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ পুলিশ সদস্যই এসব বিষয়ে অবগত নন। ফলে নির্দোষ হয়েও অনেক পুলিশ সদস্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ডাসার থানার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্টে তার ঠিকানা কালকিনি থানা থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে ডাসার থানার নাম। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে গিয়ে তিনি হয়রানির শিকার হন। পরে কালকিনি থানায় এসে কম্পিউটার অপারেটর পরিচয় দেওয়া মো. সোহেল খানের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্লিয়ারেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস পান। প্রাথমিকভাবে তিনি ৫ হাজার টাকা প্রদান করলে পরে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লিয়ারেন্স পান।
তবে কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমার নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণীর লোকজন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। অথচ এসব কিছুর সঙ্গে আমি জড়িত নই। কিন্তু বিপদে পড়তে হচ্ছে আমাকে।”
স্থানীয় অন্য এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকার পরিবর্তনের গুঞ্জনের পর এক শ্রেণীর ক্ষমতালোভী থানায় প্রভাব বিস্তার করছে। তারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ মাঝে মাঝে শুনি। এসব রোধে পুলিশকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, “থানার বাইরে দালালদের তৎপরতা নতুন নয়। যারা থানার নিয়ম কানুন জানে না, তারা সহজেই প্রতারণার শিকার হন। তবে আমরা এসব বিষয়ে সজাগ আছি।”