সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে বিলম্ব বিচার ব্যবস্থাকে উপহাস: হাইকোর্ট

সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে বিলম্ব বিচার ব্যবস্থাকে উপহাস: হাইকোর্ট

প্রথম নিউজ, ঢাকা : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত দীর্ঘ সময়েও শেষ না হওয়ায় এ মামলা দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে উপহাস করছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না- হাইকোর্টের এ রায়ের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এটি এখনো বিচারের আলো দেখতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত এ মামলাটি ক্রমাগত আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে উপহাস করে চলেছে এবং অপূরণীয় পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (৫) সে সময় বাড়িতে ছিল। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। সে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ঢাকার আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৯ বার পিছিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে গত ১৩ মে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তবে পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়টি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।