প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে immature মনে হয়েছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মী কিংবা সমর্থকরা যে কেউ এর সাথে যুক্ত হতে পারে তাতেও দোষের কিছু নেই। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও একটা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তবে তারা পর্দার আড়ালে থেকে এমনসব ইস্যুতে নৈতিক সমর্থন দিতে পারেন। এই দলটা আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও ভারত প্রতিবেশী সর্ববৃহৎ দেশ। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে তারা সরাসরি ভারত বয়কট আন্দলনে সম্পৃক্ত হতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্যে ইস্রায়েল গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে একদিকে ইরান সমর্থিত অনেকগুলো ফ্রন্ট অন্যদিকে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রক্সি বা ছায়া যুদ্ধের মতো করে বিএনপি ইন্ডিয়া বয়কট আন্দোলনে সমর্থন দিতে পারে তাতে কোন লাইবেলিটি নেই। কিন্তু সরাসরি ঘোষণা দিয়ে আপাতত কোন যুদ্ধ নয়।
যদি দেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন মধ্যবর্তী নির্বাচন হয় তখন ভারত বিরোধী ট্রামকার্ড সামনে নিয়ে আসতে হবে। রিজভী আহমেদের পারফরমেন্সে খুব মজা পেয়েছি যদিও সরকারী দল তাতে নাখোশ হওয়াটা স্বাভাবিক। পাঁচ শতাংশ ভোটে নির্বাচিত সরকারকে বিজয়ী করতে গিয়ে ভারত এখন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের এক নম্বর শত্রু। ক্ষমতাসীনরা দৃশ্যত এই ইস্যুতে অনেকাংশেই মাইনকা চিপায় পড়ে গেছে অনেকাংশেই শ্যাম রাখি না কূল রাখি। ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্যে সেই অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলটির ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ও প্রভূ ভক্তি এইবার নগ্নভাবে এদেশের ১৮ কোটি মানুষের সামনে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। অবশ্য এইবার ইন্ডিয়া বয়কট ইস্যুতে সরকার আরেক দফা জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে।
এটা একটা সামাজিক আন্দোলন যার সাথে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট, ফেইসবুক, টুইটার ব্যবহারকারীসহ অসংখ্য ইয়াং জেনারেশন আইকনরা প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে, বিশেষ করে মা বোনেরা চাইলেই এই আন্দোলনটাকে খুব দ্রুত তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে যাদের বয়স ইতিমধ্যে পনের থেকে ত্রিশের মধ্যে যে ভারত বিরোধী ঘৃণা বা ক্ষোভ জন্ম হয়েছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা প্রতি পাঁচ বছর পরে আশায় থাকে এইবার জীবনের প্রথম নিজের পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে যাব, কিন্তু ফাইনাল্যি তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যার কারন হিসেবে সবাই ইন্ডিয়াকেই দায়ী করছে।
এছাড়াও এইমূহুর্তে বাংলাদেশে ১০ লাখের উপরে অবৈধ ভারতীয়রা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কলকারখানা ও বেসরকারী অফিসে কর্মরত আছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব এদেশ থেকে তাড়াতে হবে। আমাদের দেশের লাখ লাখ শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের সামনে এইসব অবৈধ ভারতীয়রা এক নম্বর দুশমন ও প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে। এইসব অবৈধ ভারতীয়রা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য এই মূহুর্তে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তারা অগ্নি সন্ত্রাস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ হতে পারে এমনটা মাথায় রেখে ক্ষমতাসীন সরকার ও তার নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা এজেন্সী ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্হাগুলিকে দ্রুত এদের বিরুদ্ধে সিকিউটি মেজার নিতে হবে। আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জিয়াউর রহমান বলতেন, ব্যক্তির চাইতে দল বড় দলের চাইতে দেশ। সানাউল হক নীরুর ফেসবুক ওয়াল থেকে।