মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল চেয়ে করা ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আবেদন খারিজ করেন।

মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল চেয়ে করা ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ

প্রথম নিউজ, অনলাইন : মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত শীর্ষ কর্মকর্তার করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আবেদন খারিজ করেন। একই সঙ্গে আইন অনুসারে মামলাটির কার্যধারা পরিচালনা করতে এবং এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ।

মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। হাইকোর্টের আদেশের পর ইউনূসসহ আবেদনকারী শীর্ষ সাত কর্মকর্তার আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের এজাহার ও অভিযোগপত্রে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়, যা সাক্ষ্য দিয়ে নির্ণীত হবে। হাইকোর্ট মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে মামলার কার্যক্রম চলবে।

এর আগে ওই মামলায় গত ১২ জুন মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রাখেন। অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা ৮ জুলাই আবেদন করেন। আবেদনের ওপর ১১ জুলাই শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন।

আদালতে মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।