৪২ দিন পর নগর ভবনে প্রশাসক, প্রথম প্রায়োরিটি পরিছন্নতা

৪২ দিন পর নগর ভবনে প্রশাসক, প্রথম প্রায়োরিটি পরিছন্নতা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দীর্ঘ ৪২ দিন পর নগর ভবনে অফিস করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নগরভবনে অফিসে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের কে তিনি বলেন, আমরা বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করেছি কাজ শেষ হলে ঘোষণা করা হবে তবে বর্তমানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রথমে প্রায়োরিটি দিচ্ছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি মনে করছি বর্তমানে নগর ভবন স্বাভাবিক আছে। আর ১৮ দিন বন্ধ ছিল, তবে আমরা পিছনের দিকে তাকাতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। এখানে আমি সহ আমার প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ এবং সেটা একদম যিনি রাস্তা ক্লিন করছেন, তাকেও সহ আমরা সবাই একসাথে। কারণ আমাদের পিছনে তাকানোর সময় নেই। আমাদের সামনে অনেকগুলো প্রায়োরিটি রয়েছে। সেই কাজগুলো করবো এবং এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমার এখানে যারা সর্বস্তরের সহকর্মী আছেন, সকলের সহযোগিতা দরকার হবে। এবং যারা দক্ষিণ ঢাকার নাগরিক, তাদেরও সকলের সহযোগিতা লাগবে।
কোনো আকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্ভাবনা আছে কিনা বা সামনের দিনগুলোতে আপনি নগরবাসীকে কিভাবে আশ্বস্ত করবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, নগরবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে তাদের যে সেবাগুলো, সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখবো। এবং  আগামী শুক্রবার এবং শনিবার, এই দুই দিন আমরা অফিস খোলা রেখেছি। আমরা এই দুই দিন আমার যারা সহকর্মী আছেন, সবাই আমরা কাজ করবো। কাজ করে আমরা জনগণকে ইতিপূর্বে যে সেবা দিয়েছি, আমরা সেই সেবা আরও ভালোভাবে দিতে চাই।
আগামী এক বছর অর্থ বছরের বাজেট সংক্রান্ত আপনাদের কাজ চলমান আছে কিনা এবং কবে নাগাদ সেটা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, জ্বী, বাজেট আমাদের প্রণয়নের কাজ চলছে। আমার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আমার অন্যান্য যারা সহকর্মী এখানে আছেন, তারা সবাই এই কাজটি করার জন্য কাজ করতেছেন। প্রস্তুত হয়ে গেলেই আমরা ঘোষণা দেবো যে কবে এটা হবে। 
তিনি আরো বলেন, আমাদের কখনো কাজ বন্ধ ছিল না। হয়তো কোনোটা সীমিত আকারে ছিল, কিন্তু কখনোই কাজ বন্ধ হয় নাই। তবে, আজকে থেকে যেহেতু আমাদের দপ্তর খোলা, সবাই প্রাণ খুলে আজকের থেকে কাজ শুরু করবে। তিনি বলেন ,যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট আছে, তাদেরকেও বলেছি যে, যেহেতু আমি তো অফিসে আসছি, আপনারা সবাই চলে আসেন এবং বাজেট প্রণয়নে আপনারা সহযোগিতা করেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এটা সরকারেরও প্রায়োরিটি যাতে এটা ছড়িয়ে না পরে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমরা প্রথম প্রায়োরিটি দিচ্ছি।  প্রতিদিন কিছু না কিছু বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি বছর ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তায় পানি জমে যায়। আমাদের সহকর্মীরা, যারা এই ড্রেনেজ পরিষ্কার এবং এগুলোর কাজ করেছে, অত্যন্ত চমৎকারভাবে করেছে। যার জন্য বৃষ্টি হলেও কিন্তু এবার সেরকম পানি জমছে না। তারপর আমি মনে করি উই আর নট স্যাটিসফাইড। আমাদের আরও সুন্দর কাজ করতে হবে।
সামনের দিনগুলোতে যাতে জলবদ্ধতা তৈরি না হয়, এই মশা, বিশেষ করে যে ডেঙ্গু মশা, এটা যাতে বিস্তার লাভ না করতে পারে, এইগুলো আমাদের আসলে প্রথম প্রায়োরিটি। আমাদের বাজেট প্রণয়ন এবং উন্নয়নমূলক কাজগুলো, যেগুলো আসলে একটু থমকে গেছিল, সেগুলো যাতে আমরা এগিয়ে নিতে পারি, সে বিষয়ে আমি সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।