অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে যেসব সমস্যা হতে পারে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ব্যস্ত জীবনে ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় চিনির মাত্রা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ২৫ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে পেটের স্বাস্থ্য বা অন্ত্রের জীবাণুদের ভারসাম্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
পেটের কিছু উপকারী ও কিছু ক্ষতিকর জীবাণু শর্করা থেকে শক্তি নেয়। যখন ক্ষতিকর জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন তৈরি হয় ‘গাট ডিসবায়োসিস’। অর্থাৎ অন্ত্রে জীবাণুর ভারসাম্য হারিয়ে যায়। এর ফলে মিষ্টির প্রতি তীব্র আকর্ষণ তৈরি হয় এবং পরিপাকতন্ত্র আরো দুর্বল হতে থাকে।
চলুন, জেনে নিই অতিরিক্ত চিনি খেলে কী কী হতে পারে।
প্রচুর গ্যাসের সমস্যা
যদি নিয়মিত পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি হয়, তবে তা হতে পারে অন্ত্রের জীবাণুর ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও ঘুমের সমস্যা
ঘন ঘন ক্লান্তি, অনিদ্রা বা বিশ্রামের পরেও অবসাদ অনুভব করলে বুঝতে হবে শর্করা শরীরকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।
মুড সুইং ও খিটখিটে স্বভাব
অবসাদ, রাগ বা আচরণগত পরিবর্তন পেটের সমস্যার কারণে হতে পারে।
অন্ত্রে সেরোটোনিন নামক ‘হ্যাপি হরমোন’ এর উৎপাদন ব্যাহত হলে এমনটা হয়।
খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা
প্রতিবার খাওয়ার পরে যদি মিষ্টির প্রতি ঝোঁক বাড়ে, তাহলে বুঝতে হবে অন্ত্রে শর্করাপ্রিয় ক্ষতিকর জীবাণু বেড়েছে।
ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স
এই ধরনের পরিপাকজনিত সমস্যা বারবার দেখা দিলে তা অন্ত্রের অস্বাস্থ্যকর অবস্থার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
খাবারে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রোবায়োটিক খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ কমানো সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন সময় ও সচেতনতা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা