তালের শাঁস থেকে দূরে থাকবেন যারা

তালের শাঁস থেকে দূরে থাকবেন যারা

প্রথম নিউজ, অনলাইন:   গরমের সময় প্রাণ জুড়াতে রসে ভরপুর কচি তালের শাঁস অনেক উপকারে আসে। কচি তালের শাঁসে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এ ছাড়া তালের শাঁসের বেশির ভাগ অংশই জলীয়। ফলে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে তালের শাঁসের ভূমিকা বেশ কার্যকরী।
এত উপকারের ভিড়েও এই তালের শাঁস অনেকের ক্ষতি করতে পারে। মজাদার এই তালের শাঁস কাদের জন্য ক্ষতিকর, জেনে নিন—

ডায়াবেটিক রোগী : তালের শাঁসে প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের তালের শাঁস একেবারে না খাওয়া বা খুব কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

অ্যালার্জি প্রবণ ব্যক্তি : কিছু মানুষ তালজাতীয় খাবারে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন, যেমন চুলকানি, র‍্যাশ, হাঁচি, ইত্যাদি। যদি কখনো তাল খাওয়ার পর শরীরে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এড়িয়ে চলাই ভালো।
 

হজমে সমস্যা : তালের শাঁস অতিরিক্ত ঠাণ্ডা প্রকৃতির। ফলে যাদের পেট ঠাণ্ডা বা অম্লতা সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি খেলে উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত তালের শাঁস খেলে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা হতে পারে।

শিশু ও গর্ভবতী নারী : শিশুদের জন্য তালের শাঁস কাঁচা বা ভালোভাবে পরিষ্কার না করা থাকলে হজমে সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী নারীদের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর না হলেও, হজমের সমস্যা থাকলে সাবধানে খাওয়া উচিত।

ওজন বেশি যাদের : তালের শাঁসে রয়েছে অতিরিক্ত ক্যালরি, যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের এটি না খাওয়াই ভালো।
 

কিডনি সমস্যা থাকলে : যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা তালের শাঁস খেলে শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যেতে পারে। তাই কিডনি রোগীরা খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন।

এ ছাড়া তালের শাঁস বেশি পরিমাণে খেলে পেট গরম হয়ে পেট ব্যথা, বমি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত তালের শাঁস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।