রংপুরে জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নামে এনসিপির এজাহার

প্রথম নিউজ, অনলাইন: রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলের ১৮ শীর্ষ নেতার নামে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় এজাহার দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এই এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরো ৮০/৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে আলমগীর নয়ন এই এজাহার দাখিল করেন বলে নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াছির, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী আ. রাজ্জাক, সিনিয়র সহসভাপতি মো. লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম মিলন চৌধুরী, রংপুর মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক ফুজি বেলাল, ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আরিফ আলী, মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ফারুক মন্ডল, রংপুর মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল, রংপুর জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হীরা, জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলা কমিটির সহসভাপতি মঈন, লবু, জুলফিকার আজিজ খান ভুট্টো ও নাহিদ হাসান শাওন।
এজাহারে বলা হয়, বেশ কিছুদিন হতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতা কর্মীদের জান ও মালের বড় ধরনের ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। গত ৩০ মে রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদল শিক্ষার্থী আওয়ামী দোসর ‘জাতীয় পার্টির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াও ও মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট-এর দোসর জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার করো’ এই দাবিতে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গ্র্যান্ড হোটেল মোড় হয়ে সেনপাড়া চৌরাস্তা মোড়ের দিকে যাত্রা শুরু করি।
এসময় ১নং আসামি জি এম কাদেরের হুকুমে উল্লেখিত আসামিরাসহ তাদের পক্ষে অজ্ঞাতনামা আরো ৮০/৯০ জন ব্যক্তি আমাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, চাপাতিসহ মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং বেশ কযেকটি বোমাসদৃশ ককটেল বিস্ফোরণ করে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাসহ ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে কয়েকজন আহত হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২নং থেকে ১৮নং আসামিসহ তাদের লোকজন আমাদের মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারলে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জখম করে। এতে শিক্ষার্থী সীমান্ত হোসেন (১৭), জিহাদি ইসলাম রুশোসহ (১৯) আরো দুজনকে আটক করে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে। তার প্যান্টের পকেট হতে ৪ হাজার ৭৬০ টাকাসহ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসাদি নিয়ে নেয়। পথচারীদের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
রংপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা এসে এজাহার দিয়েছেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।