আমি কোনো নায়ক-নায়িকার অতটা ঘনিষ্ঠ নই,জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া

আমি কোনো নায়ক-নায়িকার অতটা ঘনিষ্ঠ নই,জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  যার শুধু কণ্ঠে নয়, হাসিতেও মুগ্ধতা ছড়ায়; তিনি জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিত্য নতুন গানে দর্শকদের মাতাচ্ছেন। কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী বলে গানের সংখ্যা একটু কম। দুই বছর পর প্লেব্যাকে পাওয়া গেল কর্ণিয়াকে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয় ঈদের ছবি ‘টগর’-এর গানটি। গতকাল প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন গান ‘জামদানি শাড়ি’। কর্ণিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

দুপুরে গানটি প্রকাশের পর থেকে এখন (সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত অনেক ফোন পেয়েছি।
তা ছাড়া ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরেও অনেকে প্রশংসা করছেন। গানটির কথা, সুর ও কম্পোজিশনের পাশাপাশি ভিডিওচিত্রের কথাও বলছেন তাঁরা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এমন মন্তব্য ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমার কাছে শ্রোতারা যে ধরনের গান শুনতে বেশি পছন্দ করে, এটা সে ধরনেরই।

এক কথায় বললে, এমন একটা গানের অপেক্ষাতেই ছিলাম। স্টেজে গাওয়ার মতো আমার অনেক গান আছে। তবে ফিল্মের একটা গান দরকার ছিল। সেটা এবার হলো। রিলসে এরই মধ্যে গানটা ভাইরাল হয়েছে।
আমি মুখিয়ে আছি স্টেজে এটা গাইতে। ‘টগর’ টিমের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আমাকে গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তখন সিসিটি (সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) খেলছিলাম মাঠে। হঠাৎ ফোন এলো, গানটির প্রস্তাব পেলাম। এটি গাওয়ার পর কাউকে জানাইনি। মনে হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত আমার কণ্ঠ হয়তো রাখা হবে না। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পর নিশ্চিত হই—না, আমার কণ্ঠই আছে।

আপনার কণ্ঠ রাখা হবে না—এমনটা কেন মনে হয়েছিল?

আমাদের দেশের ছবির গানে ঘুরেফিরে তিন-চারজন শিল্পীই কণ্ঠ দেন। সেই তালিকায় আমি কিন্তু নেই। বিশেষ করে ছবির গানের ক্ষেত্রে এখন নায়ক-নায়িকারা নাক গলান। নিজের পছন্দের শিল্পীদের দিয়ে গাওয়ান। তাঁদের কথায় নির্বাচন করা হয় কণ্ঠশিল্পী। আমি আবার কোনো নায়ক-নায়িকার সঙ্গে অতটা ঘনিষ্ঠ নই। তা ছাড়া এখন আর কেউ এক্সপেরিমেন্ট করতেই চান না। দেখেন, একই কণ্ঠশিল্পী রোমান্টিক গাইছেন আবার আইটেম গানও করছেন। সব ক্ষেত্রে এটা ভালো শোনায় না। ইউটিউবে অনেক গানের ভিডিওতে মন্তব্যের ঘরে দেখবেন শ্রোতারা এটা নিয়ে কথা বলেন। তার পরও কেউ আমলে নেন না। আমার মনে হয়েছিল, একটা সিনেমার টিমে তো অনেক মানুষ থাকেন। কেউ যদি বলেন, কর্ণিয়ার চেয়ে অমুক হলে গানটা আরো জমত। তাহলে হয়তো আমার কণ্ঠ ফেলে সেই অমুককে দিয়ে গাওয়ানো হবে। যাহোক, ভাগ্য ভালো এমনটা কেউ বলেননি। আমার কণ্ঠটাই রয়ে গেছে।

কত দিন পর প্লেব্যাক করলেন?

দুই বছর হলো। ২০২৩ সালে ‘কাগজ’-এ ‘আইসক্রিম’ গানে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। সে গানটির জন্য কিছুদিন আগে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। জুরিবোর্ড সদস্যরাও প্রশংসা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, আমার কণ্ঠটা প্লেব্যাকের জন্য পারফেক্ট। এখন নির্মাতা, সংগীত পরিচালক যদি আমাকে না ডাকেন, তাহলে চলচ্চিত্রে কিভাবে গাইব?

‘১০০% দেশি’র পর কী মনে হচ্ছে, নিয়মিত ডাক পাবেন এখন থেকে?

তা জানি না। তবে নিজেকে প্রমাণ করার দরকার ছিল, সেটা করেছি। শ্রোতারা গানটা পছন্দ করেছেন। নির্মাতা থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রীও খুশি হয়েছেন। এটা দেখে যদি অন্য নির্মাতারা আগ্রহী হয়ে আমাকে গাইতে ডাকেন, সাড়া দেব। আমি গানের মানুষ, গানের বাইরে আর কিছু করি না। ফলে গানের সঙ্গেই থাকতে হবে।

ঈদে সিনেমা হলে যাবেন?

অবশ্যই। ‘টগর’ তো মাস্ট দেখব। হলে গানটির সঙ্গে সরাসরি শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া দেখার অপেক্ষায় আছি। এর বাইরে যদি সময় মেলে ঈদের অন্য ছবিও দেখার ইচ্ছা রয়েছে।

ঈদে শো করছেন?

আছে তো। ঈদের আগের দিন এনটিভিতে, ঈদের দিন দেশ টিভিতে, ঈদের পর দিন আরটিভি আর ঈদের তৃতীয় দিন কেরানিগঞ্জে শো আছে। এরপর কক্সবাজার, ঢাকা ও আরো কয়েকটি শহরে শো করব।