সকালের নাশতা কি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার?

সকালের নাশতা কি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার?

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার— এই কথাটি আমরা অনেকেই শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু আসলেই কি তা আমাদের স্বাস্থ্যকর করে তোলে, না কি এটি ওটস কম্পানির প্রচারণা?

গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৯৪% প্রাপ্তবয়স্ক নিয়মিত নাশতা খায়, কিন্তু কিশোরদের মধ্যে সেই হার ৭৭%। সুইজারল্যান্ডে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাশতা এড়িয়ে চলে।

নাশতা না খেলে কী হয়?
নাশতা না খাওয়ার ফলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাশতা খায় না, তাদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে নাশতা না খাওয়াই সব সমস্যার মূল কারণ কি না, তা একদম নিশ্চিত নয়। অনেক সময় যারা নাশতা এড়িয়ে চলে, তারা অন্য দিক থেকেও অসচেতন বা অনিয়মিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। 

নাশতা সময়ও শরীরের বিপাকে প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকাল ৮টার আগে নাশতা খায়, তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হয়। অন্যদিকে, যারা দেরিতে রাতের খাবার খায়, তাদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু খাওয়া নয়, কী খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত নাশতা সারাদিন ক্ষুধা ও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ নাস্তা যেমন ওটস, সেরেয়াল, রুটি, ফল— শরীরের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। তবে মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা ক্ষতিকর হতে পারে।

সকালে নাশতা করলে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও মানসিক কার্যকারিতা বাড়তে পারে, বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে। যদিও এই তথ্য আরো গবেষণার দাবি রাখে, তবে কোনো গবেষণায় দেখা যায়নি যে, নাশতা খেলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।

সকালের নাশতা আমাদের শক্তি যোগায়, বিপাকীয় কার্যকলাপকে সঠিক রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তবে তা হতে হবে সুষম ও সময়মতো— অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা অনিয়মিত হলে বরং হিতে বিপরীতও হতে পারে।

সূত্র : বিবিসি