যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা আটকে গেল যে কারণে

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় কে লিড নিবে? তা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল সরকারের ভেতরে। শুরুতে এগিয়ে যান প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের দায়িত্বশীলরা। তারা নিজেদের মতো করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেন-দরবার করছিলেন। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ট ট্রাম্পের কাছে পাঠানো প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধপত্র ছিল তাদের ফোকাস। পরবর্তীতে অবশ্য যুক্ত করা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য গোড়া থেকেই সক্রিয় ছিল ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। কিন্তু নীতিনির্ধারণী আলোচনা থেকে বরাবরই দূরে ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়! এমনকি স্টেকহোল্ডাররাও। সবমিলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা তথা প্রস্তুতিবিহীন ‘তাড়াহুড়া’য় কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট ছাড়াই মাঝপথে আটকে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচনা!
যা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন এবং বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্যে এখন এটি অনেকটাই স্পষ্ট। পেশাদারিত্বের মূল্যায়ন না হওয়া, স্টেকহোল্ডারদের মতামতের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনে সরকারের ব্যর্থতা এবং ক্রেডিট নিয়ে কাড়াকাড়ির বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। গত দু’দিনে পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন- অতি উৎসাহ এবং কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়ার আগেই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের ‘জয়ের মুডে’ চলে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য কাল হয়েছে। তাদের আত্মবিশ্বাসের পারদ ছিল তুঙ্গে কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। শুরু থেকেই প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ তো নয়ই। উদাহরণ দিয়ে পররাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ভেঙে যায়। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। বরং কম্প্রিহেনসিভ অ্যাপ্রোচ এবং কর্ডিনেটেড অ্যাফোর্টে জাকার্তা ডেটলাইনের আগেই ওয়াশিংটনের শুল্ক চুক্তিতে উপনীত হতে সক্ষম হয়। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ শুল্ক হ্রাসে সক্ষম হয়েছে দেশটি। সেই চুক্তি নিয়ে ট্রুথ সোশ্যালে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্দোনেশিয়ার পণ্য প্রবেশে এখন ১৯ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। পূর্বের ঘোষণা মতে, এটি ছিল ৩২ শতাংশ। ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন, চুক্তির আওতায় ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি, সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য ও ৫০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার অঙ্গীকার করেছে। বোয়িং উড়োজাহাজের মধ্যে অনেকগুলোই ৭৭৭ মডেলের হবে।
শুল্ক চুক্তিতে উপনীত হওয়ার প্রস্তুতিতে এখনো ঘাটতি কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ: এদিকে শুল্কহার কমানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে বাংলাদেশ যে দেরি করেছে- এটি স্বীকার করতে সংশ্লিষ্টরা এখন আর কোনো দ্বিধা করছেন না। বাণিজ্য বিষয়ক গবেষক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেও সময় নিয়েছে সরকার। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করতে না পারার মূল কারণ হিসেবে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতিকেই উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তৃতীয় দফা আলোচনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নতুন করে যে প্রস্তুতি শুরু করেছে তাতে শুল্ক চুক্তিতে উপনীত হওয়ার মতো অবস্থায় কি পৌঁছানো গেছে? না, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো ঘাটতি কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও গবেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত শুল্কহার কমানো নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির নেতৃত্বে থাকার কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ কাজে এমন ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে, যারা আলোচনাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি। আলোচনা, দর-কষাকষি ও চুক্তি করার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সামনে এসেছেন পরে। রেকর্ড বলছে- বাংলাদেশের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক গত ১৬ই এপ্রিল ঢাকা আসেন। তখন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের পর লুৎফে সিদ্দিকী ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে (ডিসি) ইউএসটিআর, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচি ঠিক করা হয়েছে। ২১শে এপ্রিল লুৎফে সিদ্দিকী সেই আলোচনায় যোগ দেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, ওইদিন ইউএসটিআরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন লুৎফে সিদ্দিকী। কিন্তু তেমন কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। এই আলোচনায় অনুপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এরপর পুরো মে মাসে পাল্টা শুল্কহার কমানো নিয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি। পরে আলোচনার এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে লুৎফে সিদ্দিকীও আর থাকেননি। জুন মাসের প্রথম দিক থেকে ইউএসটিআরের সঙ্গে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (প্রকাশ না করার চুক্তি) করার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি-চালাচালি শুরু হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ১২ই জুন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (প্রকাশ না করার চুক্তি) হয় বাংলাদেশের। ১৭ই জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএসটিআরের অনলাইন বৈঠক হয়। ওই বৈঠককে প্রথম দফার আনুষ্ঠানিক আলোচনা হিসেবে গণ্য করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত শুল্ক চুক্তির একটি খসড়া বাংলাদেশকে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও বিশ্লেষণ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ২৬শে জুন তিনি ইউএসটিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, এ বৈঠকের পর খলিলুর রহমান সরকারকে এমন ইঙ্গিত দেন যে তখন পর্যন্ত আলোচনায় সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। পরে ৩রা জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে আবার বৈঠক করেন খলিলুর রহমান। এবার অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টাও। এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে পাল্টা শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হয় ইউএসটিআরের কাছে। সূত্রগুলো জানায়, কূটনৈতিক ভাষায় ইউএসটিআরের পক্ষে আশ্বাস দেয়া হয় যে বিষয়টি তারা দেখবে। এ বৈঠকের পর বিদেশি একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরকারকে এমন ইঙ্গিত দেন যে ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিতে পারে। ৯ থেকে ১১ই জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক করে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি হচ্ছে দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এ দফার আলোচনায় বাদ থাকেন খলিলুর রহমান। এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনদিনের আলোচনা শেষে দলটি ফিরে আসে ১৩ই জুলাই। এরই মধ্যে ৮ই জুলাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তারা ৩৭ এর বদলে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করবেন। রিপোর্টে প্রকাশ- শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশের ২৮ দফা বৈঠক ও যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট আসেনি। দরকষাকষিতে ঢাকা নানা কারণে পিছিয়ে ছিল জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিজিএমই, রপ্তানিকারকসহ অন্য স্টেকহোল্ডারদের অন্ধকারে রাখা এবং ইউএসটিআরের (ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ) সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ না রাখায় এমন ফল এসেছে বলে আত্মোপলব্ধি হয়েছে সরকারের। এজন্য পরবর্তী আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লিডে নেয়ার নির্দেশনা এসেছে। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র এবং অন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক এবং স্টেকহোল্ডার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুল্ক আলোচনায় সরকার বেসরকারি খাতকেও সম্পৃক্ত করতে চায়। জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতে পারে।
দেশে ফিরে বাণিজ্য উপদেষ্টা যা জানিয়েছেন- এদিকে ওয়াশিংটনে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট না আসা এবং তা মাঝপথে আটকে যাওয়ার পর দেশে ফিরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। আগামী সপ্তাহেই তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন- এমনটা দাবি করে তিনি বলেন- আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার সব প্রকাশ করা যাবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন- এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে নন-ডিসক্লো?জার একটি অ্যাগ্রিমেন্ট রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র কী চেয়েছে বা চাচ্ছে তার বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে না। উপদেষ্টার পাশে বসা বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অভিঘাত। সেজন্য সরকার সর্বাত্মক পর্যায়ে জড়িত থেকে কাজ করছে। ইতিমধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে, আরও কিছু কাজ করতে হবে। সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া শর্ত নিয়ে আলোচনার জন্য শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করার জন্য একটা ‘অবস্থানপত্র’ তৈরিতেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মতামত নেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে যে উচ্চহারের শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তা কমানোর জন্য দরকষাকষি এখনো চলমান বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে বুধবার তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি অনেক কিছুই জানি না, তাই এ নিয়ে মন্তব্য করে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক তা চাই না। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, টেকনিক্যালি বলতে পারি-নন ডিসক্লোজার চুক্তি হতেই পারে। এ তথ্যটা আমরা গোপন রাখবো। এক্ষেত্রে কী হবে না হবে, এটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানে। আমি এ সম্পর্কে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। যেহেতু নেগোসিয়েশন চলছে, দেখি ফলাফল কী দাঁড়ায়।