বরিশালে যে শান্তি পাই, তা আর কোথাও পাই না: সাফা কবির

বরিশালে যে শান্তি পাই, তা আর কোথাও পাই না: সাফা কবির

প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: অভিনয়ে কিছুটা বিরতি নিয়ে ফের শুটিংয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী সাফা কবির। ঈদের ছুটি শেষে এবার শুটিংয়ের জন্য তিনি গিয়েছিলেন নিজ জেলা বরিশালে। টানা এক সপ্তাহ কাজ শেষে ঢাকায় ফিরে এসেই নিজের অনুভূতির কথা ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।

বরিশালের গৌরনদীতে তার দাদাবাড়ি আর মায়ের বাড়ি বরিশাল সদরে হলেও সাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তবুও নিজের শিকড়ের টান তিনি ভোলেন না। বললেন, ‘আমার হৃদয়ের একটা অংশ বরিশালে পড়ে থাকে।’

সেই টান থেকেই এবারের বরিশাল সফর তার কাছে হয়ে উঠেছে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। কাজের জন্য গেলেও হৃদয়ের জায়গা থেকে অনুভব করেছেন, এটি যেন এক পূর্ণাঙ্গ, শান্তিময় ভ্রমণ। সাফার কথায়, ‘এইবার গিয়েছিলাম শুটিংয়ের কাজে, কিন্তু সেটা যেন রূপ নিল এক পূর্ণ, মনভরানো সফরে—লঞ্চে পা রাখার মুহূর্ত থেকে শুরু করে বিদায় নেওয়া পর্যন্ত। বরিশাল, তুমি আমার হৃদয় জয় করেছ।’

শুধু কাজ নয়, বরিশালের প্রকৃতি, মানুষ আর স্মৃতিমাখা পরিবেশ যেন তাকে নতুন করে প্রেমে পড়ার সুযোগ দিয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিবার বরিশালে গেলেই একটা গভীর, অজানা টান অনুভব করি—মনে হয়, আত্মার একটা অংশ এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বরিশালে যে শান্তি আমি পাই, তা আর কোথাও পাই না। আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে যাই, বরিশালের কাদামাখা রাস্তা, আঁকাবাঁকা নদী, বৃষ্টির পর মাটির গন্ধ, আর অবশ্যই, মুখরোচক খাবার।’

যে নাটকের শুটিংয়ে তিনি এবার বরিশাল গিয়েছিলেন, সেটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউনিটের বেশিরভাগ সদস্যই ছিলেন বরিশালের। শিল্পী, পরিচালক, ক্যামেরাম্যান—সবাই কোনো না কোনোভাবে এই অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি সাফার কাছে বেশ আবেগঘন ও ইতিবাচক লেগেছে।

দুই বছর আগে এক আত্মীয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশাল গিয়েছিলেন তিনি। তখনও খুব একটা সময় কাটাতে পারেননি প্রিয় মানুষেরা আর সেখানে না থাকায়। দাদা-দাদি, নানা-নানির কেউই এখন আর বরিশালে নেই। তাই এবারের যাত্রায় কিছুটা শূন্যতাও অনুভব করেছেন। 

সাফা বললেন, ‘ছোটবেলায় প্রায় প্রতি ঈদে বরিশাল যাওয়া হতো। এর বাইরে বিয়ে কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আব্বু-আম্মুর সঙ্গে যেতাম। তখন দাদা-দাদি, নানা-নানি ও আত্মীয়স্বজনে ভরপুর থাকত। ঢাকা থেকে বেড়াতে গেলে যে কয়টা দিন থাকতাম, কিভাবে যে পার হয়ে যেত, টেরই পেতাম না। এখন আত্মীয়দের কেউ থাকলে অন্তত শুটিংয়ের ফাঁকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারতাম, এই আফসোসটা ছিল অনেক বেশি।’

শুটিংয়ের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে অনেকবার যাওয়া হলেও বরিশালে একবার শুটিং করেছিলেন বছরপাঁচেক আগে।