অ্যালার্জি হতে পারে যে ৫ খাবার থেকে
প্রথম নিউজ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের প্রায় সবারই পরিচিত এমন কেউ থাকে যার চিংড়ি খেলে অ্যালার্জি হয়, যে কারণে তাকে খাবার পরিবেশন করার সময় আমরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করি। এমনকী চিংড়ি দিয়ে রান্না করা কোনো খাবার ছুঁয়ে দেখলেও অ্যালার্জি হতে পারে এমন মানুষও আছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, শুধু চিংড়ি নয়, অ্যালার্জির কারণ হতে পারে আরও অনেক খাবার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর মতে, এই অ্যালার্জি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খাবারের নির্দিষ্ট প্রোটিনের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি ঘটে। প্রতিক্রিয়াগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হয়, শরীরে লালচে র্যাশ, ঠোঁট ফুলে যাওয়ার মতো হালকা লক্ষণ থেকে শুরু করে গুরুতর লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এমনকী মারাত্মক শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। তাই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ৫ খাবার অ্যালার্জির কারণ হতে পারে-
চিংড়ি: চিংড়ি খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি দেখা দেয়, যেখানে আপনার ইমিউন সিস্টেম কিছু প্রোটিনকে ক্ষতিকর বলে ভুল করে। সীফুড অ্যালার্জির সবচেয়ে সাধারণ ট্রিগার হলো ট্রপোমায়োসিন, আরজিনাইন কিনেস এবং পারভালবুমিন নামক প্রোটিন। সামুদ্রিক খাবারের অ্যালার্জির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয়, যা ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। কখনও কখনও তা মারাত্মক হতে পারে।
ডিম: একটি ডিম সবচেয়ে সাধারণ খাদ্য অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। যেহেতু ডিমের সাদা অংশ এবং ডিমের কুসুমে বিভিন্ন প্রোটিন উপাদান থাকে, তাই হতে পারে যে আপনার একটিতে অ্যালার্জি হতে পারে, অন্যটিতে নয়। এর ফলে হজমে সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ডিম খাওয়ার পরে এমনটা হলে সতর্ক হোন।
চিনা বাদাম: আরেকটি সাধারণ অ্যালার্জেন খাবার হলো চিনা বাদাম। যা মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে আসল কারণ এখনও অজানা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনা বাদামের অ্যালার্জি বংশগত হতে পারে। তাই খেয়াল করুন, আপনার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটছে কি না। এমনটা হলে সতর্ক থাকুন।
গরুর দুধ: ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এবং গরুর দুধের অ্যালার্জির মধ্যেও পার্থক্য করতে পারে না অনেকে। গরুর দুধের কারণে অ্যালার্জি হলে ত্বকের উপরিভাগ ফুলে যেতে পারে, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে এবং কারও কারও ক্ষেত্রে বমি হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জি ধরা পড়লে, সবচেয়ে ভালো অভ্যাস হবে গরুর দুধ এবং তা দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলা। এর পরিবর্তে আপনার খাবারের তালিকায় দুধের বিকল্প কিছু যোগ করতে পারেন।
গম: বেশিরভাগ মানুষই গ্লুটেন সংবেদনশীলতাকে অ্যালার্জি ভেবে ভুল করে। প্রথমটি গমের নির্দিষ্ট প্রোটিনের কারণে ঘটে। যেকোনো খাবারে পাওয়া গ্লুটেনের কারণে সিলিয়াক নামক রোগ দেখা দিতে পারে। গমের কারণে অ্যালার্জি দেখা দিলে আপনাকে খাবার তালিকা থেকে গম বাদ দিতে হবে।