অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: আগামী বছর স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে সরকার। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী, সমতাভিত্তিক, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত দেশ গঠনে প্রত্যক্ষ কর তথা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সক্ষম ও গতিশীল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই ঘোষণা দিতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এবং জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় এবার সংসদে বাজেট উপস্থান করা হবে না। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা, দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।
সরকার মনে করছে, চলতি অর্থবছরে অনলাইন রিটার্ন করদাতাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই আগামী বছর স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামীতে যেন কোম্পানি করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে। এই উত্তরণ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বহিঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তি এবং বৈদেশিক সাহায্য ও সহজ ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত করবে। এই প্রেক্ষাপটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দর্শনের আলোকে একটি বৈষম্যবিরোধী, সমতাভিত্তিক, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত দেশ গঠনে প্রত্যক্ষ কর তথা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সক্ষম ও গতিশীল করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
রাজস্ব ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্দেশে এরই মধ্যে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি রাজস্ব কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে এবং কর সেবা পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান কর ব্যয় কাঠামোকে যৌক্তিক করার লক্ষ্যে এবং কর অব্যাহতি সংস্কৃতির রাশ টানার লক্ষ্যে সম্প্রতি কর ব্যয় নীতিমালা ও এর ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে এবং যৌক্তিকভাবে ও পর্যায়ক্রমে কর ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে অবারিত সময়ের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান নিরুৎসাহিত করা হবে এবং প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিয়ে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।
দেশের প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থাকে আধুনিক, ন্যায্য, করদাতাবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব করার ধারাবাহিকতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা শোনাতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা।
বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সীমিত আয়ের জনগণের জন্য করের বোঝা হ্রাস করা, সামাজিক সুরক্ষা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। সেই গেজেটভুক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা আসতে পারে।
তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের মতোই থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা এবং তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয় সীমার ঘোষণা দিতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা।
অবশ্য কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা কিংবা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এরূপ প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা পাবেন।
বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে ৩-৫ হাজার টাকা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষে মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দিতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা। একই সঙ্গে কর প্রদান সংস্কৃতির বিকাশ, কর-নেট সম্প্রসারণ এবং নতুন করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমাণ ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে।
রিটার্ন দাখিল করতে হবে না যাদের
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসহ কোনো আইন বা সরকারি আদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যেকোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ, কমিশন, ইনস্টিটিউট, বোর্ড, একাডেমি বা অনুরূপ সংস্থা যারা কোনোরূপ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে না এবং পরিচালন ব্যয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ নির্বাহের জন্য সরকার থেকে নিয়মিত তহবিল প্রাপ্ত হয় সে সকল প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল
করভিত্তি সম্প্রসারণ, কর সংস্কৃতির বিকাশ ও কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ৪৫টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করে ক্রেডিট কার্ডসহ ১২টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট দাখিলের বিধান করা হতে পারে। পাশাপাশি উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতি মাসের পরিবর্তে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উৎসে করের রিটার্ন দাখিলের বিধান করা হতে পারে।
এছাড়া জমি বা জমিসহ স্থাপনা হস্তান্তরকালে দলিল মূল্যের অতিরিক্ত কোনো অর্থ গৃহীত হলে ব্যাংক বিবরণীসহ দালিলিক প্রমাণাদি দ্বারা যাচাইযোগ্য হওয়া সাপেক্ষে ওই অতিরিক্ত অর্থের ওপর মূলধনি আয়ের জন্য প্রযোজ্য হারে কর প্রদানের বিধান করা হতে পারে। নির্দিষ্ট দিনের পর স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ কমানো হতে পারে।
পুঁজিবাজারের জন্য সুখবর
পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং দেশি-বিদেশি লাভজনক ও নামীদামি কোম্পানির তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার উদ্দেশে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। একই সঙ্গে সিকিউরিটিজ লেনদেনের মোট মূল্যের ওপর ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কর সংগ্রহের হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হতে পারে। পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৫ শতাংশ করা হতে পারে।
ইলেকট্রিক গাড়িতে সারচার্জ থাকছে না
কোন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার একাধিক গাড়ি থাকলে পরিবেশ সারচার্জ আরোপ করার বিধান থাকলেও পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ব্যবহার উৎসাহিত করতে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ আরোপ না করার কথা বলতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা। সেই সঙ্গে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ করবর্ষের জন্য সারচার্জের বিদ্যমান হার অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি ন্যূনতম কর-কে সারচার্জ পরিগণনার ভিত্তি না রেখে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করযোগ্য আয়ের ওপর নিয়মিত করহার প্রয়োগ করে নিরূপিত করের ওপর সারচার্জ পরিগণনা করার বিধান করা হতে পারে।
অতিরিক্ত কর পরবর্তী বছরে সমন্বয়ের সুযোগ
সমন্বয় করার সুযোগ না থাকায় বাড়তি ন্যূনতম করের বোঝা বহন সংক্রান্ত করদাতাদের দীর্ঘ দিনের অসুবিধা দূর কার লক্ষ্যে ন্যূনতম করের কারণে কোনো করদাতাকে নিয়মিত করের যে পরিমাণ অতিরিক্ত কর দিতে হয় তা পরবর্তী করবর্ষগুলো সমন্বয় করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন উৎসাহিত করতে স্বাভাবিক ব্যক্তির ‘কৃষি থেকে আয়’ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হতে পারে।
বেসরকারি চাকুরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হতে পারে। নিয়োগকর্তার জন্য কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে কর্মচারীকে দেওয়া পারকুইজিট অনুমোদনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করা হতে পারে।
এছাড়া চাকুরিরত কর্মচারীদের কিডনি, লিভার, ক্যানসার, হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার ও কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয় এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীর কোনো আয় এবং জিরো কুপন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট হতে উদ্ভূত আয় করমুক্ত করা হতে পারে। করমুক্ত দানের আওতায় স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা ও সন্তানের পাশাপাশি আপন ভাই ও আপন বোনকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
কর জাল সম্প্রসারণ
কর জাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য মুনাফার পরিমাণ বিবেচনায় ঠিকাদারি কাজ থেকে উৎসে কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৭ শতংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। ধান, চাল, গম, আলু, পাট, কাঁচা চা পাতা সরবরাহের ক্ষেত্রে সরববরাহ মূল্যের ওপর উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করা হতে পারে। প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে জমি হস্তান্তর থেকে কর সংগ্রহের বিদ্যমান মূলধনি মুনাফা কর হার এলাকাভেদে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ করা হতে পারে। বর্তমানে ৮, ৬ ও ৪ শতাংশ হার কার্যকর রয়েছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১৫২টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ হারে অগ্রিম কর আরোপ করা হতে পারে। পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিং শিল্পকে উৎসাহিত করতে এই শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হতে পারে। গ্যাস বিতরণে নিযুক্ত কোম্পানির উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করা হতে পারে। তেলশোধন কার্যক্রমে নিযুক্ত কোম্পানির তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ করা হতে পারে।
এছাড়া ইন্টারনেট সেবা থেকে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, সিকিউরিটিজের সুদ হতে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ক্রয়ের অর্থ পরিশোধকালে উৎসে কর ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ, ভাড়া পরিশোধের উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, সিগারেট প্রস্তুতকারকের নিট বিক্রয়মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে টার্নওভার করের আওতামুক্ত সীমা ৩ কোটি টাকা হতে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হতে পারে।
মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার করের পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ, মোবাইল অপারেটর, তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী এবং কার্বোনেটেড বেভারেজ ব্যতীত অন্য সব ব্যবসায়ী করদাতাদের টার্নওভার করের হার ১ শতাংশ করা হতে পারে। ব্যবসায়ী করদাতার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন ক্রমান্বয়ে নিরুৎসাহিত করা ও একই সঙ্গে কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত আগের বিধান শিথিল করে বেতন, ভাড়া ও কাঁচামাল বাবদ প্রদর্শিত ব্যয় ব্যতীত অন্য সব ধরনের ব্যয় বাবদ মোট পরিশোধের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে থাকলে অন্য মাধ্যমে পরিশোধিত মোট অঙ্কের ২৫ শতাংশ অননুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করার বিধান করা হতে পারে।