প্রথম নিউজ, অনলাইন: কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কানাডা থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি এবং মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আনা হবে। ৬৮১ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তিনটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে তিনটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি পর্যালোচনা করে এ সাতটি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ে তিনটি প্রস্তাবই সর ক্রয়সংক্রান্ত।
এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৪২ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তিউনিশিয়ার গ্রুপ চিমিক তিউনিশিয়েন (জিসিটি) এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এ সার আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৫০ ডলার।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউ ট্রি ক্রপস এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এ সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৭১০ মার্কিন ডলার।