তিনি জানান, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে এবং টানা ১২ দিন ধরে সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
তবে এই আগ্রাসনের জবাবে ইরানও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ড কর্পসের এরোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩-এর আওতায় ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলে ২২টি পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই সংঘাতের পর গত ২৪ জুন কার্যকর হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘাত সাময়িকভাবে থেমে গেছে। খতিবজাদে বলেন, ‘এই যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রই বার্তা পাঠিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ইরানি জনগণ তাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে ইসরায়েলি আগ্রাসন থামাতে বাধ্য করেছে এবং এর মাধ্যমে তারা নিজেদের ইচ্ছাশক্তির বিজয় নিশ্চিত করেছে। তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগ্রাসন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
খতিবজাদে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো লিখিত চুক্তি করিনি। এখানে কোনো শর্তযুক্ত সমঝোতা হয়নি। যা হয়েছে তা হলো—ইসরায়েল নিজের আগ্রাসন বন্ধ করেছে, আর ইরান পাল্টা হামলা চালায়নি।’