৮ উইকেটে ২২০ রানে দিনের সমাপ্তি
প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: দিনের শেষ উইকেট হিসেবে ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফিরেছেন নাঈম হাসান। কলম্বো টেস্টের প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৭১ ওভার। স্রেফ ৪ রানের জন্য ব্যক্তিগত ফিফটি পাননি ওপেনার সাদমান ইসলাম। ত্রিশের ঘর ছুঁয়ে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহীম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের শুরু করবেন তাইজুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন। দুজন অপরাজিত যথাক্রমে ৯ ও ৫ রানে।
আউট হলেন মিরাজ
বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে লং স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মিরাজ। ৪২ বলে ৩১ রানে ফিরলেন তিনি। নয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছেন তাইজুল ইসলাম। ৬৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৯/৭।
লিটনের পর ফিরলেন মুশফিকও
লিটনের পর এবার সোনাল দিনুশার শিকার হলেন মুশফিকুর রহীম। ৩৫ রানে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে পরাস্ত হলেন তিনি। ক্রিজে নেমেছেন নাঈম হাসান। ৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬০ রান।
ফিরলেন লিটন
জুটি বড় করার চেষ্টায় ছিলেন লিটন আর শান্ত। এরমধ্যে কয়েকবার জীবন পান দুজনই। তবে ১১৩ বলের সেই ৬৭ রানের জুটি ভাঙলেন সোনাল দিনুশা। লিটন ফিরলেন ৫৬ বলে ৩৪ রানে। ক্রিজে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৩ রান।
মাঠে ফিরে জীবন পেলেন মুশফিক
লাঞ্চের বিরতি শেষে মাঠে এক এক করে রান বাড়াচ্ছিলেন লিটন, মুশফিক। এর মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি শেষে খেলা আবারও মাঠে ফিরেছে। স্পিনার থারিন্দুর ওভারে একটি জীবন পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯৮/৪
কলম্বো টেস্টে বৃষ্টির হানা
সাদমান, শান্ত আউট হবার পর দলের রানের খাতা এক এক করে বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক এবং লিটন। তাদের জুটি থেকে এসেছে ২৬ বলে মাত্র ১৪ রান। এর মধ্যেই ভারি বৃষ্টিপাতের জন্য বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। মুশফিক ৭, লিটন ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
৩৩.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯০/৪
সাদমান, শান্তকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
লাঞ্চের বিরতির পর ফারনান্দোর বলে ফিরলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের ২৮তম ওভারে ফিরলেন উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে নামলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ৬ বল পরেই ফিরলেন সাদমান ইসলাম। ৯৩ বলে ৪৬ রানে ফিরলেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। ছয় নম্বরে নামলেন লিটন কুমার দাস। নিজের ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৬ রান।
দুই উইকেটে ৭১ রান নিয়ে লাঞ্চে সাদমান, শান্তরা
সাদমান ইসলাম, অধিনায়ক শান্ত দুজনই সুযোগ পেয়েছেন। লাঞ্চের আগে তাই তাদের জুটি থেকে এসেছে ৫৯ বলে ২৮ রান। ইনিংসের ২১তম ওভারে বাংলাদেশ পৌঁছে ৫০ রানে। সাদমান ইসলাম ৪৩, শান্ত ২১ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
এবার ফিরলেন মুমিনুল
বিজয় ফিরে যাবার পর ক্রিজে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার সাদমান এবং মুমিনুল । ৭১ বলে ৩৮ রানের সেই জুটি ভাঙলেন স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৪৩ রান। সাদমানের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২২ রান। ক্রিজে নেমেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আবারো ব্যর্থ বিজয়
প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসের মতো ফের দ্বিতীয় টেস্টেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না বিজয়। লঙ্কান পেসার আসিথার কাছে পরপর দুটি জীবন পেয়েও তার কাছেই বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। ফের ১০বলে শূন্য রানে ফিরলেন বিজয়।
ক্রিজে নেমেছেন মুমিনুল হক। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমানের সংগ্রহ ১৬ বলে ৫ রান।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫ ওভারে ৫ রান।
রক্ষা পেলেন বিজয়
আশিথা ফারনান্দোর দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুটি জীবন পেলেন এনামুল হক বিজয়। দুটি বলই স্লিপে ক্যাচের সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে ক্যাচ দুটো লঙ্কানরা কেউ নিতে পারেননি।
গত ম্যাচের দুই ইনিংসে মেলে ধরতে বরাবরই ব্যর্থ ছিলেন। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই ক্রিজ ছাড়েন তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল পরবর্তী ম্যাচে একাদশে থাকবেন কী বিজয়।
বর্তমানে ক্রিজে রয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়।
কলম্বো টেস্টেও টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
কলোম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) গ্রাউন্ডে শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সফরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। গল টেস্টের মতো এবারও টসে জিতে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। টসের সময় টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, জাকের আলীর পরিবর্তে দলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর চোটের কারণে ছিটকে গেছেন হাসান মাহমুদ। শ্রীলঙ্কার হয়ে লাল বলে অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশার।
বাংলাদেশ একাদশঃ সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা ও ইবাদত হোসেন।
শ্রীলঙ্কা একাদশঃ পাথুম নিশাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্ডিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সোনাল দিনুশা, থারিন্দু রত্নায়েকে, প্রবাথ জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্ডো ও আসিথা ফার্নান্ডো
