প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: হলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী মিলি ববি ব্রাউনের ক্যারিয়ার শুরুটা ছিল নানা চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। আজ তিনি ইউনিসেফের সর্বকনিষ্ঠ শুভেচ্ছাদূত, সফল উদ্যোক্তা, পশুপ্রেমী, স্ত্রী ও কন্যা—প্রতিটি পরিচয়ই গর্বের সঙ্গে ধারণ করেন। ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ ইলেভেন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অভিনেত্রী জানালেন, অভিনয়ের শুরুতে তাকে অনেক প্রত্যাখ্যানের মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকি একপর্যায়ে অর্থাভাবে পরিবারসহ ফিরে যেতে হয়েছিল লন্ডনে।
সম্প্রতি সাগ-আফট্রা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এক আলাপে মিলি বলেন, ‘আমি বারবার আশ্বাস পাচ্ছিলাম এবং ভাবছিলাম—এই কাজটা নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফিরিয়ে দিত। এদিকে আমাদের অর্থও ফুরিয়ে যাচ্ছিল।’ তিনি জানান, ‘মডার্ন ফ্যামিলি’, ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’ ও ‘ইনট্রুডার্স’-এর মতো সিরিজে কাজ করেও তিনি ঠিকভাবে এগোতে পারছিলেন না। ফলে অভিনয় জগতে স্থায়ী কিছু না পেয়ে স্কুলে পড়তে লন্ডনে ফিরে যান।
মিলির পরিবার শুরু থেকেই আর্থিক সংকটে ছিল। অভিনয়ের কাজের খোঁজে ইংল্যান্ড, ফ্লোরিডা আর ক্যালিফোর্নিয়া ঘুরে বেড়াতে গিয়ে তারা বড়সড় অর্থনৈতিক চাপে পড়ে। মিলি জানান, ‘আমার পরিবার প্রকারান্তরে ভেঙে পড়ছিল, কারণ আমরা যথেষ্ট আয় করছিলাম না।’
‘গেম অফ থ্রোনস’-এর ‘লিয়ানা মরমন্ট’ চরিত্রে অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছা ছিল মিলির। তিনি অডিশনও দিয়েছিলেন সেই চরিত্রের জন্য। কিন্তু সে সুযোগ হয়নি। ‘আমি ভেবেছিলাম, এটাই বুঝি আমার শেষ চেষ্টার দিন। যদি এটা না হয়, তাহলে আমরা শেষ,’ বলেন মিলি। তবে একই দিনে নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর জন্য অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। আর সেটিই বদলে দেয় তার ভাগ্য।
‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার সিরিজগুলোর একটি। এই সিরিজের মাধ্যমে কিশোরী বয়সেই সুপারস্টার হয়ে ওঠেন মিলি ববি ব্রাউন।