ফরিদপুরে প্রতিপক্ষ দলে যোগ দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২৫

এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতঘর ও দোকান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষ দলে যোগ দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২৫

প্রথম নিউজ, ফরিদপুর: দেশীয় অস্ত্র ঢাল ফেরত না দেওয়ায় এক ব্যক্তির ইজিবাইক আটক করা নিয়ে ফরিদপুরের সালথায় দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতঘর ও দোকান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

রোববার (৩ এপ্রিল) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে মাদ্রাসা গট্টি, বালিয়া গট্টি ও কানাইড় গ্রামে রাত ১০টা থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা। এ সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে ২৫টি শর্টগানের গুলি, ৩টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্ক করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে গট্টি ইউনিয়নে দুটি পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। কয়েক দিন আগে কানাইড় গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ মাতুব্বরের সমর্থক রেজাউল মাতুব্বর প্রতিপক্ষের বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের দলে যোগদান করেন। দল থেকে চলে যাওয়া রেজাউলের কাছে কুদ্দুছ মাতুব্বরের রক্ষিত দেশীয় অস্ত্র ৩টি ঢাল ছিল। ওই ঢাল ফেরত চান কুদ্দুছ। কিন্তু ঢাল ফেরত দেন না রেজাউল মাতুব্বর। বিষয়টি নিয়ে দুই-তিন দিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

সূত্র আরও জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় কুদ্দুছ মাতুব্বরের দলনেতা নুরু মাতুব্বর ও তার সমর্থকরা মাদরাসা গট্টি মোড় থেকে রেজাউলের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক আটক করে। তারা রেজাউলকে ঢাল ফেরত দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে যেতে বলে। পরে পুলিশ গিয়ে ইজিবাইক উদ্ধার করে তাকে ফেরত দেয়। তারপরও কানাইড় ও মাদ্রাসা গট্টির উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পরে রাত ১০টা থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত সাত-আটটি বসতঘর ও ১টি দোকান ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে কথা বলতে কুদ্দুছ মাতুব্বর ও পারভৈজ মাতুব্বরের মুঠোফোনে কল করা হলে তারা কেউই ফোন রিসিভ করেনি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom