রাজনীতি আর উপভোগ করছেন না কঙ্গনা রানাউত, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উপার্জন নিয়েও

রাজনীতি আর উপভোগ করছেন না কঙ্গনা রানাউত, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উপার্জন নিয়েও

প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: অভিনয় জীবন যেমন শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল, তেমনই রাজনীতিতেও আগাগোড়া বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। গত বছর প্রথম বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু এই একবছরেই কার্যত নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে তার। অল ইন্ডিয়া রেডিও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই সেকথা স্বীকার করলেন কঙ্গনা। খাতায় কলমে একবছরের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন কঙ্গনা। তাকে বলতে শোনা যায়, “এখন বুঝতে পারছি আমি। রাজনীতি উপভোগ করছি বলতে পারব না। একেবারে অন্য ধরনের ক্ষেত্র, সমাজসেবার মতো। এটা আমার ব্যাকগ্রাউন্ড নয়। মানুষের সেবা করার কথা কখনও ভাবিনি আমি।”

রাজনীতিকে ‘শখের কাজ’ বলেও দাবি করলেন অভিনেত্রী তথা মান্ডি কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। বলছেন ,পঞ্চায়েত স্তরের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে সবাই আসছেন তার কাছে।  কঙ্গনার বক্তব্য, “নারীর অধিকারের জন্য লড়াই করেছি। কিন্তু সেটা একেবারে আলাদা। কেউ বলছেন কলের নল ভেঙে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, আমি তো সাংসদ! এরা পঞ্চায়েত স্তরের সমস্যা নিয়ে আসছে। ওদের যায় আসে না। দেখলেই ভাঙা রাস্তার কথা জানাচ্ছেন। আমি বলি, যে ওটা রাজ্য সরকারের সমস্যা। কিন্তু ওরা বলেন, ‘আপনার তো টাকা আছে, নিজের টাকায় করে দিন’!”

কঙ্গনার দাবি, সৎ পথে রাজনীতি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে জীবনযাপন করা কঠিন। তাই দরকার আরও একটি চাকরি। অভিনয় থেকে রাজনীতির জগতে এসেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, “আমি একটা বিষয় বুঝেছি। একজন সাংসদকে যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে রাঁধুনি বা গাড়ির চালককে বেতন দেওয়ার পরে থাকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।”

ভারতে এক সাংসদের বেতন ১.২৪ লক্ষ রুপির  আশপাশে। কঙ্গনা আরও জানিয়েছেন, তার কেন্দ্রের কোনও এলাকা গাড়িতে করে ঘুরে দেখতে গেলেও অনেক খরচ হয়ে যায়। তার কারণ, প্রতিটি এলাকার মধ্যে প্রায় ৩০০-৪০০ কিলোমিটারের দূরত্ব।  তাই তিনি বলেছেন, “এই জন্যেই রাজনীতি খুব খরচসাপেক্ষ একটি শখ। তাই আলাদা চাকরি প্রয়োজন। এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের ব্যবসা রয়েছে। অনেকে আবার আইনজীবী।” সূত্র : লাইভ মিন্ট