‘মেয়ের টাকায় খায়’, প্রতিবেশীদের কটাক্ষে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা

‘মেয়ের টাকায় খায়’, প্রতিবেশীদের কটাক্ষে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ হয়ে গেছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) নিজের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেন দীপক যাদব নামের এক ব্যক্তি। নিহত রাধিকা যাদব ছিলেন একজন উঠতি টেনিস তারকা এবং একটি টেনিস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা।

স্থানীয় সূত্র ও গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, মেয়ের উপার্জনে জীবিকা নির্বাহের কারণে দীর্ঘদিন ধরে কটাক্ষের শিকার হচ্ছিলেন দীপক। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ‘মেয়ের টাকায় খাচ্ছেন’—এমন মন্তব্য শুনে ক্রমেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন তিনি। এর মধ্যেই মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস ভিডিও তৈরি এবং একাডেমি চালানো নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে।
জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে দীপক পুলিশকে বলেন, “বারবার বলেছিলাম একাডেমি বন্ধ করতে, শোনেনি। গ্রামের লোকজন আমাকে খোঁচা দিত, বলত আমি মেয়ের টাকায় খাচ্ছি। আমার সম্মানহানি হচ্ছিল। একসময় রাগের মাথায় মেয়েকে গুলি করে ফেলি। পুলিশ জানিয়েছে, দীপক নিজের লাইসেন্সধারী রিভলভার দিয়ে মেয়ের ওপর পাঁচটি গুলি চালান। তিনটি গুলি লাগে রাধিকার বুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
রাধিকার সাবেক কোচ মনোজ ভরদ্বাজ জানান, “তার মৃত্যু ভারতীয় টেনিসের জন্য বড় ক্ষতি। সে প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী ছিল।” তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ডাবলসে রাধিকার র‍্যাঙ্কিং ছিল ১১৩ এবং সিঙ্গেলসে ২০০-এর মধ্যে। হরিয়ানায় তার অবস্থান ছিল সেরা পাঁচে।
গুরুগ্রাম পুলিশের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা সন্দীপ কুমরার ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার পর পরই দীপক যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাইসেন্সড অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাধিকার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।