টেনিস কোর্টে খেলার চাপটা পাক-ভারত ম্যাচের মতো,উইম্বলডন দেখতে গিয়ে কোহলির উপলব্ধি

টেনিস কোর্টে খেলার চাপটা পাক-ভারত ম্যাচের মতো,উইম্বলডন দেখতে গিয়ে কোহলির উপলব্ধি

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  শেষবার এসেছিলেন ২০১৫ সালে। দশ বছর পর উইম্বলডনে গেলেন বিরাট কোহলি। সোমবার স্ত্রী অনুশকা শর্মাকে নিয়ে নোভাক জোকোভিচ ও অ্যালেক্স ডি মিনাউরের খেলা দেখলেন কোহলি। 

খেলা দেখা শেষে জানালেন, উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে খেলার চাপ অনেকটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো। ফাইনালে জোকোভিচের বিরুদ্ধে কার্লোস আলকারাজকে দেখতে চান ভারতের তারকা ব্যাটার। 

ম্যাচের পর কোহলির সাক্ষাৎকার নেন ভারতের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় বিজয় অমৃতরাজ। বিজয়ের প্রশ্ন, উইম্বলডনে টেনিস এবং লর্ডসে ক্রিকেট খেলার মধ্যে ফারাক কোথায়? কোহলির উত্তর, ‘দুই চাপ। প্রচুর দর্শক হয়। তবে সেন্টার কোর্টের মতো চাপ আর কোথাও থাকে না। লোকে আপনার কত কাছে বসে থাকে। সব কথা শোনা যায়।’ 

কেন বিষয়টা বেশি চাপের, সেটাও পরিষ্কার করে বললেন কোহলি। যোগ করলেন, ‘ধরুন আমি ব্যাট করতে নেমেছি। দর্শকরা অনেক দূরে। তাই নিজের ভাবনাতে ডুবে থাকার সুযোগ থাকে। কারও কথা কানে আসে না। শুধু আপনি বাউন্ডারির ধারে ফিল্ডিং করার সময় সেগুলো শুনতে পান। ব্যক্তিগত দক্ষতায় হার-জিতের ব্যাপার সেখানে থাকে না।’

এখানেই টেনিসের গুরুত্ব বেশি বলে মনে করেন কোহলি। তার ব্যাখ্যা, ‘সেন্টার কোর্টে খেলা খুব কঠিন। সবাই আপনার কাছে বসে। কথা বলছে, সমালোচনা করছে, এই কারণেই টেনিস খেলোয়াড়দের এত সমীহ করি। ওরা যে মানসিকতা, ফিটনেস দেখায় তা অসামান্য।’ 

‘এমন অভিজ্ঞতা দেখা যায় বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বা সেমিফাইনাল-ফাইনাল ম্যাচে। টেনিস খেলোয়াড়রা বোধহয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই সেরকম চাপে থাকে।’