কোন রোগে কোন ডাল খেলে উপকার

কোন রোগে কোন ডাল খেলে উপকার

প্রথম নিউজ, অনলাইন: প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিনের ভাণ্ডার বলা হয় ডালকে। ওজন কমাতে এটি অত্যন্ত উপকারী খাদ্য এই ডাল। ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরলের মতো রোগও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ডাল খেয়ে। শুধু জানতে হবে কোন সমস্যায় কোন ডাল খাওয়া উচিত।

আয়ুর্বেদে বলা হচ্ছে, উচ্চ রক্তচিনি, অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি অসুখের চিকিৎসায় কাজে আসতে পারে ডাল। ডালকে অত্যন্ত শক্তিশালী খাদ্য বলে গণ্য করা হয় এই শাস্ত্রে। বিভিন্ন ধরনের ডাল বিভিন্ন রোগে উপকারী। আধুনিক পুষ্টিবিদ ও আয়ুর্বেদে অভিজ্ঞরা জানাচ্ছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
কোন ডালে কী উপকার, জেনে নিন—

মসুর ডাল

শরীরে আয়রনের ঘাটতি থেকে রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকলে মসুর ডাল কাজে আসতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটি রক্তবর্ধক। এটি ঘি, হিং ও জোয়ানের ফোড়ন দিয়ে রান্না করে খেলে উপকারে আসে। রক্তস্বল্পতা ও অতিরিক্ত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে এটি কার্যকর।
এ ছাড়া এই ডাল আয়রন ও ফোলেটে ভরপুর। এটি ক্লান্তি, নিস্তেজ নখ ও চুলের সমস্যা সারাতেও সাহায্য করে।

ছোলার ডাল

চানা ডাল প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এতে মেথি ও জিরা দিয়ে ফোড়ন দিলে এটি আরো উপকারী হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে এটি রক্তচিনি ও কফকে ভারসাম্য রাখে।
এটি খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা বা চিনি খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়।

বিউলির ডাল

বিউলির ডাল হাড়কে শক্তি দেয়। এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আয়ুর্বেদ মতে, এই ডাল হাড়, জয়েন্ট ও টেন্ডনকে মজবুত করে। ৪০ বছরের বেশি বয়সি নারীদের জন্য এটি দারুণ উপকারী। ফোড়নে ঘি, শুকনা আদা ও মরিচ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
ঘরে যে পোকার উপস্থিতি বাড়াতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা

ঘরে যে পোকার উপস্থিতি বাড়াতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা
 

সবুজ মুগ ডাল

সবুজ মুগ ডাল সলিউবল ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, টক্সিন ও চর্বি শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। উচ্চ এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটি ত্রিদোষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং লিভার ডিটক্সে উপকারী। এটি অঙ্কুরিত করে হালকা ভেজে খেতে পারেন অথবা পেঁয়াজ, মৌরি ও ধনে পাতা দিয়ে চিলা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

এই ডাল হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি স্নায়ুকে শিথিল করে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং পিত্ত বাড়তে বাধা দেয়। রান্নার সময় এতে কারি পাতা, জিরা ও কোকমের ফোড়ন দিতে বলা হয়েছে।

হলুদ মুগ হজমের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি হালকা এবং সহজে হজম হয়। আইবিএস (ইরিটেবল বয়েল সিস্টেম) ও পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যায় এটি বিশেষ উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুসারে, এটি হালকা, ঠাণ্ডা প্রকৃতির এবং বাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফোড়নে হিং, আদা ও সেন্দা লবণ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।