সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে ৫০ লাখ টাকা ঘুস চেয়েছেন উপাচার্য

সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে ৫০ লাখ টাকা ঘুস চেয়েছেন উপাচার্য

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ঢাকা সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে ৫০ লাখ টাকা ঘুস চেয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ধানমন্ডির বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে ডেকে ৪ জুলাই উপাচার্যের পিএস আমিনুল আক্তার এ ঘুস দাবি করেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সিটি কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক কাজি নেয়ামুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নেয়ামুল হক বলেন, ১৩ জুন ঢাকা সিটি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। পরের দিন ১৪ জুন গভর্নিং বডির সভায় আমাকে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পূর্বানুমতির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো ভিসি অনুমোদন নিয়ে গড়িমসি করছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিসির পিএস আমিনুল আক্তার আমাকে ধানমন্ডি ৮/এ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে ডাকেন। এ সময় আমার সঙ্গে তিন সহকর্মী ফকির মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বাদশাহ আলমগীর ও জাহাঙ্গীর হোসেনের উপস্থিতিতে আমিনুল ভিসির পক্ষে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। আমি সরাসরি এ দাবি প্রত্যাখ্যান করি। 

অধ্যাপক নেয়ামুল হক বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাসিস্টের দোসর তৎকালীন অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন আহমেদ আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা করায় ছাত্রদের দাবির মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু এর পূর্বে ফ্যাসিস্টের প্রত্যক্ষ মদদদাতা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীর ছয় শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। 

এ সব ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের জন্য ভিসি আমানুল্লাহ বারবার চাপ দিচ্ছেন। এতে আমাদের গভর্নিং বডি ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী প্রতিবাদমুখর হয়। তাদের পুনর্বাসন করতে অস্বীকার করায় ভিসি বিরাগভাজন হয়ে অন্যায়ভাবে নতুন করে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিয়োগ দেন। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে আমরা কলেজে দাওয়াত দেই। তখনও তার পিএস ভিসির পক্ষ হয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন।