টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় ইতালি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় ইতালি

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: একটি ম্যাচ, আর স্রেফ একটি ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলেই ক্রিকেটে নিজেদের নতুন ইতিহাস লেখবে ইতালি। বাছাইপর্বের ম্যাচে বুধবার স্কটল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে চমক উপহার দিয়েছে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা দেশটি। আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতলেই মূল পর্বের টিকিট পাবে ইতালিয়ানরা। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে রান রেটে।

নেদারল্যান্ডের স্পোর্টপার্ক ওয়েস্টভিটে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৭ রানের পুঁজি গড়ে ইতালি। জবাবে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় স্কটিশরা। ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে এই নিয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ইতালিয়ানরা, আগে জিতেছে গার্নসির বিপক্ষে। জার্সির বিপক্ষে পরের ম্যাচটি হয় পরিত্যক্ত। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সবার উপরেই ইতালিই, এগিয়ে রয়েছে রান রেটেও (১.৭২২)। ৪ পয়েন্টে দুইয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের রেন রেট ১.২। ৩ পয়েন্টে তৃতীয় ও চতুর্থ যথাক্রমে জার্সি (০.৪৩০) ও স্কটল্যান্ড (-.১৫০)। ভুরবার্গে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ডাচদের বিপক্ষে লড়বে ইতালিয়ানরা। এই ম্যাচে জিতলেই স্বপ্নপূরণ হবে তাদের। হারলেও ব্যবধানটা যত কম রাখা যায় তত মঙ্গল। 

ইতালিয়ানদের জন্য। তবে জার্সি কিংবা স্কটল্যান্ডের মধ্যে কোনো দল বড় জয় তুলে নিলে তা দুশ্চিন্তার কারণ হবে তাদের জন্য। কেননা ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দু’টি দল সুযোগ পাবে সীমিত ওভারের বিশ্বকাপে। অন্যদিকে জার্সির সামনেও সুযোগ আছে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার। ইতালি ৭ পয়েন্ট পেয়ে গেলে বেকায়দায় পড়ে যাবে নেদারল্যান্ডস, আর তখন দ্বিতীয় স্থান দখলের জন্য স্কটল্যান্ড আর জার্সির ম্যাচের বিজয়ীরা হয়ে উঠবে ফেভারিট। এদিকে জার্সি যদি স্কটিশদের হারায় আর ইতালি যদি স্বাগতিক ডাচদের বিপক্ষে জয় তুলে নেয়, তবে ইউরোপ অঞ্চলের রানার্সআপ হিসেবে খেলবে জার্সি।

দুর্দান্ত এই সম্ভাবনার দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইতালি অধিনায়ক জো বার্নস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৩টি টেস্টও খেলেছেন এই ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার। স্কটিশদের হারিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তের জন্য আমি সত্যিই গর্বিত। স্কটল্যান্ড অসাধারণ একটি দল, তাদের হারাতে পারা আমাদের খেলোয়াড়, স্টাফ ও ফেডারেশনের ত্যাগের একটি সুন্দর পুরস্কার। আশা করি এটি অনেক বড় কিছু শুরু হবার ইঙ্গিত। আমরা খুব আবেগী মুহূর্তে আছি। বিশ্বকাপের এত কাছে থাকা, এটি স্বপ্নের মতো।’