গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় স্থবিরতা

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে তিন দিন ধরে চলা পরোক্ষ আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মূল বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিরতির সময় মানবিক সহায়তা কীভাবে বিতরণ হবে, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার বৈঠক করলেও কূটনৈতিক বাস্তব অগ্রগতি আনতে পারেননি। নেতানিয়াহু বলেন, আমি একটি চুক্তি চাই, কিন্তু যেকোনো মূল্যে নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও চুক্তি চান, কিন্তু তিনিও একই মনোভাব পোষণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা প্রয়োজনীয়তা ও অন্যান্য শর্ত রয়েছে, যা পূরণ না হলে চুক্তি সম্ভব নয়। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, এ সপ্তাহ অথবা পরবর্তী সপ্তাহেই একটি চুক্তি হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এই আলোচনার অংশ হিসেবে ১০ জন জিম্মি মুক্তি দিতে রাজি। তবে এখনও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঝুলে রয়েছে। তার মধ্যে মানবিক সহায়তার প্রবাহ, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা অন্যতম। হামাস একে ‘কঠিন আলোচনা’ বলে উল্লেখ করেছে এবং ইসরাইলের আড়ষ্টতাকে দুষছে।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, আলোচনা আটকে রয়েছে। কারণ, ইসরাইল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সরাসরি সাহায্য ঢুকতে দিতে চায় না। তারা বরং গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত কাঠামোর মাধ্যমে সাহায্য বিতরণ চালিয়ে যেতে চায়। এই ফাউন্ডেশন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিকাদারদের মাধ্যমে সাহায্য বিতরণ করে, যা অনেকের মতে ‘বেইজ্জতি ও অসম্মানজনক’ পদ্ধতি। এছাড়া ইসরায়েল ১৮ মার্চের পর থেকে গাজায় দখল করা এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যা আলোচনায় আরও জটিলতা তৈরি করছে।