পুলিশ হত্যা মামলায় কারাগারে খসরু-স্বপন
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) তাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরু ও স্বপনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ওইদিন সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়।
এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।