পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

 পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর পর হঠাৎ করেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এনবি১.৮.১ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজ্যে এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩১।

এর মধ্যে কলকাতায় আরও ২১ জনের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত তিন দিনে ১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। করোনা পজিটিভ হলে জিনোম সিকোয়েন্সংসের জন্য ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নমুনা পাঠাতে হবে। গত দুই সপ্তাহে রাজ্যের সব প্রাইভেট ল্যাবে যে টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জিনোম সিকোয়েন্সে জন্য সেসব নমুনা পাঠাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখন কভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন, তাদের মধ্যে ক্রমাগত কাশি, গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং শরীরের প্রচন্ড ব্যাথার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে কারও কনজাংটিভাইটিসও হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যতজনের করোনা পজিটিভ হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাড়িতেই ওষধ খেয়ে এবং বিশ্রাম নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

চিকিৎসক এসএন পোদ্দার বলেছেন, হাতের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যপারে খেয়াল রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়া, হাত ধুয়ে খাওয়া, সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন যতটা সম্ভব যেখানেই যান না কেন, রেস্তোরাঁ হোক বা বাজার ভিড় থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। আবার মাক্স পড়া অভ্যাসে পরিণত করুন। এর ফলে আপনাকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনার চারপাশের মানুষকেও নিরাপদ রাখবে। এ ধরনের ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে বড় সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে।

তিনি বলেন, সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ভারতে অনেক স্থানেই এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯৫ জনে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার দিকে দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা, দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র, তৃতীয় দিল্লি এবং চতুর্থ গুজরাট।