উভয় পক্ষের হামলায়, মৃত্যুর মিছিল

শনিবার হামাসের আকস্মিক কয়েক হাজার রকেট হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে  জেরুজালেম পোস্ট।

উভয় পক্ষের হামলায়, মৃত্যুর মিছিল

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: গাজায় যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয়ে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। শনিবার হামাসের আকস্মিক কয়েক হাজার রকেট হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে  জেরুজালেম পোস্ট। এছাড়া আরও অন্তত ৭৫০ ইসরাইলী নিখোঁজ বলে জানা গেছে। বিভিন্ন শহরে ভয়াবহ সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবারই ইসরাইলের বিমান বাহিনী আকাশপথে হামাসের লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে বোমা হামলা চালিয়েছে। স্থল অভিযানেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় গাজায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭০ ফিলিস্তিনি। আহতদেরকে নিয়ে গাজায় আল শিফা হাসপাতালে দৌড়াতে দেখা গেছে আত্মীয়স্বজনদের। আল জাজিরা বলছে, ইসরাইলে হামাস যে সহিংস হামলা চালিয়েছে তাতে ৫০ বছর আগের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, তুরস্ক সহ মুসলিম দেশগুলো।

অন্যদিকে ইসরাইলে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলটজ, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুথ প্রমুখ। শনিবারই এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে  ফোনে কথা বলেছেন। তাদেরকে তিনি জানিয়েছেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। হামাসের হামলাকে তিনি সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেন। ওদিকে সৌদি আরব বলেছে, তারা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠভাবে দৃষ্টি রাখছে। উভয় পক্ষকে উত্তেজনা বন্ধ করার অনুরোধ করা হয় তাৎক্ষণিকভাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, অব্যাহত দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে।

মাঝে মাঝেই দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করে মিশর। তারা রক্তপাত বন্ধে উপায় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে এরই মধ্যে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে জোরালো যোগাযোগ শুরু করেছেন। রাজনৈতিক এক কনফারেন্সে বক্তব্যকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশ এ অবস্থায় সব পক্ষের প্রতি বিরত থাকার আহ্বান জানায়। আল জাজিরা বলছে, হামাসের রকেট হামলার জবাবে গাজায় অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল ইসরাইলিরা। গতকাল রোববার খুব ভোর থেকেই ইসরাইলের দক্ষিণাংশে হামাসের সশস্ত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে লড়াই চলছে। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। 

কি কারণে হামাসের এই আকস্মিক হামলা: হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করছেন ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর। তারা মুসলিমদের পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রবেশে মাঝে মাঝেই কড়াকড়ি আরোপ করে। এমনকি এর  ভেতরে নামাজরত মুসলিমদের ওপর ইসরাইল বাহিনীকে হামলা চালাতে দেখা গেছে। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতমার বেন-গাভীর কমপক্ষে এক হাজার উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারীকে নিয়ে দখলীকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল আকসা চত্বরে প্রবেশ করেন গত জুলাইয়ে। এক বছরের মধ্যে এটা তার তৃতীয়বার মুসলিমদের এই পবিত্র স্থানে প্রবেশ। এই পবিত্র স্থানে তিনি প্রবেশ করে মুসলিমদের, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি গাজার অধিবাসীদের উস্কানি দিয়েছেন। অহরহ দখলীকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালায় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।

এমনকি গাজার নাগরিকরা তাদের জমিতে পর্যন্ত যেতে পারেন না বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারে। এসব বিষয়ে হামাস বা ফিলিস্তিনি নেতারা বার বার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। পশ্চিমা বিশ্ব তাদের কথায় কান দেয়নি। দশকের পর দশক ধরে এভাবে নিষ্পেষিত হতে হতে হামাস শেষ পর্যন্ত আকস্মিকভাবে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়েছে শনিবার। এমন অবস্থায় হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মেদ  দেইফ বলেছেন, সময় এসে গেছে শত্রুদেরকে এটা বুঝতে হবে যে, পরিণতি ভোগ করা ছাড়া তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে না। তারা গাজায় যে নির্যাতন, নিষ্পেষণ চালু করেছে তা পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে ছড়িয়ে পড়বে। 
নেতানিয়াহুর জবাব: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী  বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ ঘোষণা দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ সেনাদের তলব করেছেন। তিক্ত সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। গাজায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনিরা, যারা ইসরাইলের স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলার অধীনে রয়েছেন, তাদেরকে অবিলম্বে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন তিনি। কিন্তু গাজা ফিলিস্তিনিদের। তাদেরকে নিজেদের এলাকা ছেড়ে তিনি চলে যেতে বলা মানে, ওই এলাকার যেটুকু অংশ ফিলিস্তিনের দখলে আছে, তাও তারা দখল করে নেবে। টেলিভিশনে শনিবার ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, এই কালো দিবসের শক্তিশালী প্রতিশোধ নেব আমরা। যেসব তরুণ জীবন হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বদলা নেবো আমরা। হামাসের সব অবস্থানকে টার্গেট করবো আমরা। গাজাকে আমরা নির্জন দ্বীপে পরিণত করবো। গাজার নাগরিকদের বলবো, তোমরা এখনই চলে যাও। এই উপত্যকার প্রতিটি প্রান্তকে আমরা টার্গেট করবো। 

গাজায় অন্ধকার রাত, অনিশ্চয়তা; হামাসের বিরুদ্ধে জবাব আসছে: শনিবার দিবাগত রাতে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরাইল। এর মধ্যে সেখানে মুহুর্মূহু বোমা হামলা চালাতে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ ও ফিলিস্তিনের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা এই জনপদে তখন মৃত্যু বিভীষিকা। একে তো অন্ধকার। তার মধ্যে দফায় দফায় বোমা হামলা। যারা নিরপরাধ মানুষ তারাও এর শিকার। বোমার বিকট বিস্ফোরণে অনেক আবাসিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এর মধ্যে আছে ১৪ তলাবিশিষ্ট একটি টাওয়ার। এতে গাজা সিটিতে হামাসের অফিস সহ ছিল কয়েক ডজন এপার্টমেন্ট। স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে গাজা সিটির একটি মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোতে বোমা হামলা চালানো হবে। অবিলম্বে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনকে ধুলোবালির ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরাইলের আকাশপথে বোমা হামলা। ওই অন্ধকারের মধ্যেই নিহত ও আহতদের দেহ নিয়ে স্থানীয়রা দৌড়াতে থাকেন হাসপাতালে।

কিন্তু হাসপাতালে রোগীতে ভরে যায় সামান্য সময়ের মধ্যেই। দেখা দেয় ওষুধপত্র ও সরঞ্জামের সংকট। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, নিহত হয়েছেন ২৩২ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭০০ মানুষ। হামাসের রাজনীতি বিষয়ক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোউরি বলেন, ইসরাইলের সিনিয়র বেশ কিছু সেনাসদস্য সহ বিপুল সংখ্যক মানুষকে আটক করেছে হামাস। জেল থেকে সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে ইসরাইল, এমন সংখ্যক তাদের সদস্যকে হামাস আটক করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ইসরাইলের অনেক সেনাসদস্যকে অভিযানে হত্যা করেছি এবং তাদের অনেককে আটক করেছি। 

বিশ্বনেতারা উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। জেরুজালেম পোস্টকে সামরিক বিশ্লেষক ইয়োনাহ জেরেমি বব বলেছেন, ইসরাইল ২০১৪ সালে তার ৮০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে তলব করেছিল। এবার তারা এর চেয়ে বড় অভিযান চালাতে পারে গাজায়। এক অথবা দু’দিনের মধ্যে ইসরাইল তার সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি করবে। তারপরই পূর্ণাঙ্গভাবে গাজায় অভিযান চালাবে। ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্য ড্যানি ড্যানন বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে জবাব আসছে। গাজার জনগণকে এর মূল্য দিতে হবে। হামাসের মতো হবো না আমরা। আমরা বেসামরিক লোকজনের কোনো ক্ষতি করবো না। তবে হামাসের বিরুদ্ধে যখন আমাদের অভিযান শুরু হবে, তা হবে শক্তিশালী ও কার্যকর। তাদেরকে দমন করতে যা যা করা দরকার আমরা তা-ই করবো। কমপক্ষে ২০০ ইসরাইলি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার পর আমরা অলস বসে থাকবো না। 

বিশ্ব দেখছে: হামাসের আকস্মিক রকেট হামলাকে অবিবেচকের কাজ বলে আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজেদের আত্মরক্ষায় ইসরাইলের অধিকার আছে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। তিনি  বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ইসরাইলের জনতার পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসী হামলার পক্ষে থাকার কখনোই কোনো কারণ থাকতে পারে না। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য আমার প্রশাসনের সমর্থন কঠিন ও অটল। ইসরাইলের শত্রুদের তিনি সতর্ক করে বলেন, এদিকে দৃষ্টি রেখেছে বিশ্ব। ওদিকে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরব ও জর্ডানের সঙ্গে ফিলিস্তিন-ইসরাইল উত্তেজনা প্রশমনের উপায় নিয়ে আলোচনা করছে মিশর। 

হামাসের সমর্থনে মিছিল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে: মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। এ সময় তারা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন দিয়েছে। ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ফিলিস্তিনি পতাকা দুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। ইসরাইলের আঞ্চলিক শত্রু বলে পরিচিত ইরানের পার্লামেন্ট অধিবেশন শনিবার শুরু হয়েছে সদস্যদের দুয়োধ্বনির মধ্যদিয়ে। তারা স্লোগান দিতে থাকেন- ইসরাইল নিপাত যাক। ইসরাইল ধ্বংস হবে। বিজয়ী হবে ফিলিস্তিন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, শনিবারে হামাসের অভিযানে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযানের এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোতে শত শত মানুষ হামাসের অপারেশনকে সমর্থন করে রাস্তায় মিছিল করেছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ হামাসের পতাকা হাতে নিয়ে রাজধানী বৈরুতে চক্কর দেন মোটরসাইকেলে। দ্য ইলেকট্রনিক ইনতিফাদা ওয়েবসাইটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলি আবুনিমাহ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নিষ্পেষণ ও গণহত্যার কারণে ৮০ বছরের মধ্যে শনিবার সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা শুধু তাদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছেন। টাইমস অব ইসরাইল বলছে, হামাসের সমর্থনে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। এতে অংশ নেন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীরা। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা। তারা রাস্তায় নেমে নেচে-গেয়ে হামাসের প্রতি সমর্থন জানান। একই রকম সমর্থনসূচক র‌্যালি হয়েছে রামাল্লাহ, হেবরন, নাবলুস ও জেনিনে। ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিন স্কয়ারে সমবেত হন। সেখানে আতশবাজিতে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। ইরানের রাজধানী আজাদি স্কয়ারে একটি স্মৃতিস্তম্ভকে ফিলিস্তিনি পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়। তার ওপর লেখা ওঠে- ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধ নিই। 

বাগদাদ মল নামে একটি শপিং মলেও আলোকিত করা হয় ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের আলোতে। লেখা হয়- আল আকসা ডিল্যুজ। হামাসের অপারেশনের প্রতি সমর্থন দিয়ে এ কথা লেখা হয়। ইরাকের বসরা নগরীতেও হামাসের সমর্থনে র‌্যালি হয়েছে। সেখানে জনতা তাদের গাড়ি চালিয়ে এবং হামাসের, ফিলিস্তিনের পতাকা দুলিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফাতিহ মসজিদের সামনে সমবেত হন হাজারো মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দ্রুততার সঙ্গে বলেন, এতে যোগদানকারীরা আরব শরণার্থী। স্থানীয় কেউ নন। ইয়েমেনের তাইজ শহরেও র‌্যালি হয়েছে। এই শহরটি হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর হুতিদের সমর্থন দেয় ইরান।