সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর কারাগারে
প্রথম নিউজ, ঢাকা : বাসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে (বীরউত্তম) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) চার দিনের রিমান্ড শেষে শাহজাহান ওমরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পুলিশ পরিদর্শক সাইরুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর শাহজাহান ওমরের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতে নিউ মার্কেট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন এ তথ্য জানান।
জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দুই দিনের অবরোধের আগের দিন ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নিউমার্কেট থানাধীন গাউছিয়া মার্কেটের পাশে মিরপুর সুপার লিংক লিমিটেডের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বাসটির প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় বাসের চালক মামলাটি দায়ের করেন।
পরে গত ৪ নভেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বনশ্রী থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় মো. সবুজ (৩২) নামে এক যুবককে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সবুজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি সবুজ ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার দাঁতমারা নতুন পাড়ার বাসিন্দা মানিক মিয়ার ছেলে। ২০১৫ সালের ২১ জুন নগরের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় মামলা হয়। ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালতে বিচার শুরু হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।