প্রার্থীর প্রতিনিধিদের গ্রেফতার করলে ছয় মাস আগে করুন বা ভোটের পরে: সরকারকে সিইসি
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকে বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়ার পর যদি তাদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে বুঝবো সেটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো এটি (গ্রেফতার) হবে না। আমরা বারবার সরকারকে এটা জানাবো, যদি তাদের গ্রেফতার করতে হয় ছয় মাস আগেই করেন। আর যদি করতে হয় তো নির্বাচনের পরে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হবে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয়, তাহলে ভোটে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, আমরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মিডিয়ার বক্তব্য শুনি।
নির্বাচনে শক্তি প্রয়োগ করার বিষয় চিরকালই হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটারদের ভোটাধিকার। কী কী অনিয়ম হতে পারে সে বিষয়ে আমরা জানতে চাই। সেটা জানতে পারলে আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, এজেন্টদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা সাহসী ভূমিকা পালন করলে এজেন্টরাও সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে নির্বাচন অনেকটা এগিয়ে যাবে। বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা অংশ নিয়েছেন।