বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার মৃত্যু হলে পিঠের চামড়া থাকবে না: অলি
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বর্তমান সরকার ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার লিভার পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যথায় অপ্রত্যাশিতভাবে যে কোনো সময় বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যেতে পারেন। তিনি মারা গেলে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণকে মোকাবিলা করতে হবে। হয়তো অনেকের পিঠের চামড়াও থাকবে না।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অলি আহমদ বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সংবিধান কার্যকর করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বহুদিন থেকে সরকারকে সতর্ক করে বলে আসছি, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, সুশাসন নাই, ন্যায়বিচার নাই। দেশের জনগণ পুলিশ ও মাস্তানদের হাতে জিম্মি এবং প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দিনের বেলা নির্বাচন হয় না। যদি নির্বচন দিনের বেলা হয়ও তবে তা হয় নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন। জনগণ ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি। পুরো দেশ মাস্তান বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। মনে হয় আমরা অসভ্য সমাজে বসবাস করছি।
অলি আহমদ আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। দেশকে আওয়ামী লীগের হাত থেকে স্বাধীন করতে হবে। অন্যথায় আত্মসম্মান নিয়ে এদেশে বসবাস করা সম্ভব নয়। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় বিভিন্ন দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি এবং স্বাধীন বাংলাদেশ নিশ্চিত করি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, এসএম মোরশেদ, সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান, কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহ-দপ্তর ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপির সভাপতি মো. সোলায়মান, পশ্চিম এলডিপির সভাপতি সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণ এলডিপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নূরে আলম, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি এফএমএ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসানসহ প্রমুখ।