শেখ হাসিনার নীতি হল ভোট চুরি আর দুর্নীতি: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতি হল ভোট চুরি আর দুর্নীতি। ভোট চুরি করে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন আর দুর্নীতি করে তার পরিবারের লোকজন অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন। দেশের টাকা বিদেশে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংকে এক বছরে সাড়ে তিন হাজার কেটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা উঠলো পার্লামেন্টে। তখন অর্থমন্ত্রী বলল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হইলো? আর ব্যাংকে টাকা নড়েচড়েনি সেটার জন্য খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে।'

শেখ হাসিনার নীতি হল ভোট চুরি আর দুর্নীতি: গয়েশ্বর

প্রথম নিউজ,নারায়নগঞ্জ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতি হল ভোট চুরি আর দুর্নীতি। ভোট চুরি করে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন আর দুর্নীতি করে তার পরিবারের লোকজন অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন। দেশের টাকা বিদেশে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংকে এক বছরে সাড়ে তিন হাজার কেটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা উঠলো পার্লামেন্টে। তখন অর্থমন্ত্রী বলল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হইলো? আর ব্যাংকে টাকা নড়েচড়েনি সেটার জন্য খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে।'

শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। এদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।

গয়েশ্বর আরও বলেন, '২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সকল এমপিদের টাকার হিসাব প্রকাশ করা হোক। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন রেহানার দেশ বিদেশে কত সম্পদ আছে সেগুলো প্রকাশ করা হোক। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের লোকজন ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। জনগণের ভোটে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হতো তাহলে জনগণকে জবাবদিহিতা করতে হতো। কিন্তু দেশটা তো আর জনগণের হাতে নেই।'

বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, 'বিদ্যুৎ খাত টাকা লুট করার অন্যতম খাত। মেগা প্রজেক্ট মানে মেগা চুরি। কুইক রেন্টাল মানে কুইক চুরি। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এই কুইক রেন্টাল জনগণের উপর বোঝা। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের চার্জ দিতে হবে। কয়েকদিন পরপরই বিদ্যুতের দাম বাড়ে। জিনিসের দাম বেশি কম খান, তার নাম ফারুক খান। তিনি যুদ্ধ করেননি। আবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট চেয়েছেন। বারো বছরে এগারো হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছেন। এ টাকাগুলো গেল কোথায়?

সমাবেসে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর প্রমুখ।