ব্যবসায়ীদের ধরলেই সমস্যার সমাধান হবে না: আবদুল আউয়াল মিন্টু

ব্যবসায়ীদের ধরলেই সমস্যার সমাধান হবে না: আবদুল আউয়াল মিন্টু

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: দেশের বেসরকারি খাত, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু।  নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাল তীর সিড, নর্থ সাউথ সিড, ন্যাশনাল ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। দায়িত্ব পালন করছেন প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হিসেবেও।

দেশের অর্থনীতিতে বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করলেই এত সহজে অর্থনীতিতে সৃষ্ট সমস্যার উত্তরণ ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একটি দেশে সাধারণ নিয়মেই রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থনীতি যত ভালো হবে, রাজনীতি তত পরিশীলিত হবে। একটি আরেকটির সম্পূরক। বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনীতি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশে এমন এক ধরনের রাজনীতি গড়ে উঠেছে, সেটাকে সংক্ষেপে বলা যায়, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি। এ দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি যাঁরা ব্যবসাবাণিজ্য করেন তাঁদেরও ছাড় দেয় না।

তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছে, যদি তাঁদের লেজুড়বৃত্তি না করেন অথবা ওদের সঙ্গে অ্যালাইনমেন্টে না যান তাহলে ব্যবসাবাণিজ্য করতে দেওয়া হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসে এবং আমরা বুঝতে পারব না কোন ধরনের রাজনীতি বাংলাদেশে পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশের এই অস্থির সময়ের জন্য গত ১৬-১৭ বছরের রাজনীতিইকেই দায়ী করেন তিনি। মিন্টু বলেন, গত ১০ বছর ধরে সরকারের অর্থনীতিতে একটা দ্বিমুখী নীতি ছিল। সরকারি ব্যবসাবাণিজ্যের জন্য সম্প্রসারিত মুদ্রানীতি আর বেসরকারি খাতের জন্য ছিল সংকুচিত মুদ্রানীতি। সরকারকে ঋণ দেওয়া হলেও বেসরকারি খাতের বেলায় অবহেলা করা হয়েছে। যার কারণে অনেক ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।

অর্থনীতিতে তৎকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিন্টু বলেন, কোনো দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, মৌলিক অধিকার থাকে না, সাংবিধানিক অধিকার থাকে না, ভোটের অধিকার থাকে না, গণমাধ্যমের অধিকার থাকে না তখন প্রকৃতপক্ষে কোনো খাতই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। আওয়ামী সরকার নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পরপরই দেশে এক ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। দলীয় লোক ছাড়া সব মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে তারা।

তিনি বলেন, তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (যেমন এফবিসিসিআই) তাদের কবজায় নিয়েছিল। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তারা একচ্ছত্র আধিপাত্য বিস্তার করেছে। ফলে এমন এক জায়গায় আমাদের অর্থনীতি নিয়ে গেছে যাতে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব ছিল। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য সম্ভব ছিল ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া। অর্থনীতি মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে তুলে দেওয়ার ফলে উৎপাদনব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে, মানুষের উদ্যম এবং উদ্যোগের ব্যবহারের ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যেগুলো অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য খুবই খারাপ।

শিল্পকারখানায় হামলা, মালিকদের নামে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করার ফলে অর্থনীতিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে, এখান বেরিয়ে আসার বিষয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিনিয়োগ করে একটা কারখানায় যে উৎপাদন হবে সেটাও সম্পদ। উৎপাদিত সম্পদ বিলিবণ্টন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, আমাদের না। কিন্তু দেশটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটা সম্পদ অর্জনকারী, আরেকটা সম্পদ সৃষ্টিকারী।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সম্পদ সৃষ্টি করে, সেবা করে এবং ব্যবসা করে, করও দেয়। আর যে সম্পদ অর্জন করে সে করও দেয় না, বিনিয়োগও করে না, রক্ষা করার জন্য বিদেশে পাচার করে। যখন নতুন সরকার এসে বলে অর্থ পাচারকারীদের ধরবে। শেষ পর্যন্ত গিয়ে ধরে কিন্তু সম্পদ সৃষ্টিকারীদেরই। যারা দেশে আছে, দেশের উন্নয়নে কাজ করছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে সবাই ধরে তাদেরই। যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজে সম্পদ সৃষ্টিকারী এবং সম্পদ অর্জনকারীদের আলাদা না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যার উত্তরণ করা হবে না।

গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক সিন্ডিকেট সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট হয় ওপরের লেভেলে। সে সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনীতি জড়িত। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনীতি ঠিক না হবে, উৎপাদন না বাড়বে ততক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যা বিদ্যমান থাকবে। সংকট আরও বেশি হবে। বর্তমান সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যা বুঝতে না পারবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগকারীদের সহায়তা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত উৎপাদনে ঘাটতি হবে, উৎপাদন ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দাম আরও বেড়ে যাবে।

মিন্টু বলেন, বাংলাদেশে সকল নৈতিকতা শুধু ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নৈতিকতাকে সামাজিক মূলধনের অংশ হিসেবে গণ্য করতে হবে। যেই সামাজিক মূলধনের ওপর ভিত্তি করে দেশে বিনিয়োগ হয়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং এর প্রসার ঘটে। সেই সামাজিক মূলধনের অন্যতম অংশ হলো নৈতিকতা।

সার্বিকভাবে আর্থিক খাতের দুরবস্থা নিয়ে মন্টু বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে তাদের মিত্ররা দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও রয়েছে। আমরা দেখেছি, একটা গোষ্ঠী ১০-১২টি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু বাকি ব্যাংকগুলোও কোনো না কোনো পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এগুলো দুনিয়ার ইতিহাসে খুবই বিরল ঘটনা।

তিনি বলেন, একজন বিনিয়োগকারীর ৫ হাজার কোটি টাকা লোন রয়েছে। আগে সুদের হার ৯ শতাংশ ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেটা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারী বর্তমানে কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ও এলসি করতে পারছে না। কাঁচামাল আমদানি করতে পারলেও ডলারের দাম বাড়ার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ তিনটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে।

ব্যাংক এবং আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো রুগ্ন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, এখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় গভর্নর সাহেব বলতে পারবেন। আমরা গভর্নরকে যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি উনি সেখানে চলছেন না। উনি আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে চলতেছেন। উনি যদি বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত না নেন তাহলে দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা আরও খারাপ হবে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে। আমি ওনার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। উনি বলেছেন, সমস্যা আছে, আমরা এ সমস্যা আর বাড়তে দেব না। এজন্য তিনি সহায়তাও করছেন। কিন্তু যতটুকু সহায়তা করছেন তা যথেষ্ট নয়।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিগত সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এমন একটি দলীয় কাঠামোর প্রয়োগ করেছে যার বাইরে যাওয়ার সাহস কারও ছিল না। এটা শুধু ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতেই নয়, বরং সব সেক্টরেই নিজের দলের লোকজন বসিয়েছিল সরকার। সরকারি-বেসরকারি, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ সব সেক্টরের প্রতিষ্ঠানই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন একটা গোষ্ঠীর ওপর দোষ চাপিয়ে তো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার চায়, আমরাও সংস্কার চাই। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সংস্কার করা তখনই সম্ভব হবে যখন রাজনৈতিক সংস্কার করা হয়। আমার কাছে রাজনৈতিক মূলমন্ত্র মনে হয়, দেশের একটি গণতান্ত্রিক সরকার, যে সরকার হবে সরাসরি জনপ্রতিনিধিত্বশীল। যে সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে পারবেন না সেই সরকারের কোনো জবাবদিহি রয়েছে। সরকারেরই যদি জবাবদিহি না থাকে তাহলে আপনি কেন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জবাবদিহি খুঁজছেন?

এত বড় একটা অভ্যুত্থানের পরও দেশের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এখনি বলা যাচ্ছে না। যখন নির্বাচন হবে, একটা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তখন আমরা দেখতে পারব তারা ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। কারণ এখানে কিছু সাংবিধানিক সংস্কার আছে, কিছু আছে প্রাতিষ্ঠানিক, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার, পরিদর্শক দলের সংস্কার।

কিন্তু যখনই সাংবিধানিক ও আইনগত সংস্কার করতে যাবেন তখনই কিন্তু জনগণের কাছে জবাবদিহির বিষয়টি প্রয়োজন হবে। কারণ এটা না হলে সংস্কারগুলো টেকসই হবে না। দেশের পুরনো ইতিহাস যদি দেখেন তাহলে দেখবেন, ১/১১-এর সরকার ১৮৯-৯০টা আইন সংস্কার করেছে। অনেক পরিবর্তন করেছে। বিগত সরকার এ সংস্কারগুলো আইনে পরিণত করার ওয়াদাও করেছিল। কিন্তু পরে শুধু পাঁচ-ছয়টি আইন সংশোধন এনে পাস করা হয়। সেগুলোতেও এমন কাটাছেঁড়া করা হয় যা আগের অবস্থার চেয়েও খারাপ হয়েছে। সুতরাং টেকসই সংস্কার করতে চাইলে জনগণের মতামত নিতে হবে। যদি জনগণের মতামত না নেন তাহলে পরবর্তী সরকার সে সংস্কার কতটুকু করবে তার নিশ্চয়তা নেই।

ব্যবসায়ীদের নামে অসংখ্য মামলা হচ্ছে, অনেকে বিনিয়োগ বন্ধ করে রেখেছেন। এর ফলে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে রয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, দু-এক জন ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে চলবে? যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন তাহলে তাঁর বিচার হোক। কিন্তু বিচারের আগে যদি একজন ব্যবসায়ীকে দীর্ঘদিন জেলে ভরে রেখে তাঁর ব্যবসাবাণিজ্য ধ্বংস করে ফেলেন তাতে তাঁর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর চেয়েও বড় সমস্যা হলো তাঁদের প্রতিষ্ঠানে যে কর্মীরা কাজ করেন তাদের কী হবে?

তিনি বলেন, এক অন্যায় আরেক অন্যায়কে ঢাকতেও পারে না, ন্যায়ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। ন্যায় হলো কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু বিচার হওয়ার আগেই জেলে ভরে রাখার কুফল আমরা ১/১১-এর সময়ে দেখেছি। এভাবে চলতে থাকলে অর্থনীতির দুরবস্থা আরও বাড়বে।

ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতি কোথায় দেখতে চান প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সম্পদ বৃদ্ধি পাক এটা সব নাগরিকই দেখতে চায়। সাধারণ অনুন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হোক বাংলাদেশ। দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অর্থনীতির মূল নিয়ন্ত্রক হলেন রাজনীতিবিদরাই। সুতরাং সবকিছু ঠিক করতে হলে প্রথমে রাজনীতি ঠিক করতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশ ঠিক করেন এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঠিক করেন যাতে আমরা বিনিয়োগ করার সুযোগ পাই। বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের উৎপাদন হবে, সম্পদ হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ধীরে ধীরে বৈষম্য কমে আসবে। সম্পদ সৃষ্টি না হলে আপনি বণ্টন করবেন কোথা থেকে? সম্পদ সৃষ্টি করে কারা? রাজনীতিবিদরা সম্পদ সৃষ্টি করে এ ধরনের তথ্য আমার কাছে নেই। রাজনীতিবিদরা সম্পদ চুরি করতে পারে, কিন্তু সৃষ্টি করতে পারে না। যেটা বিনিয়োগকারী উৎপাদনের মাধ্যমে, উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে করে থাকে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন