কন্নড় ভাষা জানলেই বেঙ্গালুরু আপন হয়ে ওঠে, উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতা

কন্নড় ভাষা জানলেই বেঙ্গালুরু আপন হয়ে ওঠে, উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতা

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  বেঙ্গালুরুতে বহিরাগতদের প্রতি আচরণ নিয়ে যখন সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে, তখন শহরের একজন উদ্যোক্তা শ্রীজন আর শেঠির একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকের মনে নাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কিভাবে ভাষা মানুষের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগ গড়তে সাহায্য করে, তা অভাবনীয় আর স্থানীয়রা কতটা ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন, যখন বাইরের কেউ কন্নড় ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন।

শেঠি জানান, তিনি উত্তর ভারতে বড় হয়েছেন এবং হিন্দিভাষী। তার ত্বকের রং ও উচ্চারণ দেখে অনেকেই ধরে নেন তিনি উত্তর ভারতীয়।
কিন্তু যখনই তিনি কন্নড়, বিশেষ করে ম্যাঙ্গালোরীয় উপভাষায় কথা বলেন, তখন চারপাশের মানুষদের আচরণ একেবারেই বদলে যায়।

তিনি আরো জানান, নতুন কারো সঙ্গে কন্নড়ে কথা বললে তিনি ওদের চোখে আনন্দ আর বিস্ময় দেখতে পান। লোকেরা তখন জানতেও চায়, তিনি ভাষাটা কিভাবে শিখেছেন। উত্তরে তিনি যে ম্যাঙ্গালোরিয়ান, সেটা জানালে তারা হাসিমুখে বলেন, তার উচ্চারণ একটু আলাদা, কিন্তু তারা তা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেন।

শেঠি স্বীকার করেন, ভাষা ও পরিচয়ের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক ব্যাপার জড়িত থাকলেও বেঙ্গালুরুর বেশির ভাগ মানুষ খোলা মনেই গ্রহণ করেন নতুন মানুষদের। তিনি আরও বলেন, কন্নড় ভাষার নানা আঞ্চলিক রূপ রয়েছে, বিশেষ করে কোঙ্কানি প্রভাবিত অঞ্চলে, যা বাইরের মানুষদের জন্য কঠিন হতে পারে। তবুও আসল বিষয় হলো- আপনি চেষ্টা করছেন কি না। মানুষ সেই প্রচেষ্টাকেই গুরুত্ব দেয়।

তার পোস্টের শেষ লাইনে রসিকতা করে শেঠি লেখেন, ‘পুনশ্চ : আমার মতে, আপনি যদি আরসিবির খারাপ সময়েও দলের পাশে থাকেন, তাহলে আপনি যথেষ্ট বেঙ্গালুরুবাসী।’

শেঠির এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেক ব্যবহারকারীর সঙ্গেই মিলে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘পুরোপুরি একমত। আমি তুলুভাষী ম্যাঙ্গালোরিয়ান, দুবাইয়ে জন্মেছি, আমেরিকায় থেকেছি, এখন বেঙ্গালুরুতে স্থায়ী হয়েছি। আমিও একজন শেঠি।
’ শহরের এই আন্তরিক রূপ ও ভাষার গুরুত্ব নিয়ে শেঠির এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার মতো হয়ে উঠেছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস