সংবিধানের অজুহাতে সংস্কারকাজ যেন আটকে না থাকে: গোলাম পরওয়ার

শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

সংবিধানের অজুহাতে সংস্কারকাজ যেন আটকে না থাকে: গোলাম পরওয়ার

প্রথম নিউজ, অনলাইন: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান কোনো সংবিধান মেনে হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদও সংবিধান মেনে হয়নি। সুতরাং সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কোনো সংস্কার কাজ যেন আটকে না থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অবিলম্বে বিদ্যমান সংকট নিরসন করতে হবে। দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দেশের প্রচলিত শ্রমিক সংগঠন থেকে ব্যতিক্রম সংগঠন। দেশে বহু শ্রমিক সংগঠন আছে। যারা এদেশে মানবরচিত মতবাদ, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও পশ্চিমা সভ্যতা-বিধিবিধানের ভিত্তিতে রাজনীতি করতো তারাই এদেশে প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তুলে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জুটমিল, কলকারখানায় বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলে। যাদের টার্গেট ছিল এদেশ থেকে ইসলামকে উৎখাত করে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা। স্বল্প শিক্ষিত মানুষদের ভুল বুঝিয়ে সমাজতন্ত্রের আদলে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা উদগ্রীব ছিল। 

জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদের সরকার দেখেছে। কিন্তু এসব সরকার মানুষকে সুখ-শান্তি দিতে পারেনি। মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে সুফল পাওয়ার আশায়। বিগত  আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা সত্যিকার অর্থে মানুষকে সুখ-শান্তি দিতে পারেনি। মানুষ মুক্ত আকাশ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার পেয়েছে। আগে যে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল সে অধিকার ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এখনো অন্যায় প্রতিরোধ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। জালেম পালিয়েছে কিন্তু জুলুম পালায়নি। জুলুমের অত্যাচারে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় এখনো কষ্ট পাচ্ছে। 

তিনি বলেন, আজকে দেশ একটি সংকটের মধ্য চলছে। এখানে রাষ্ট্রপতি কে হবেন এটা বড় প্রশ্ন নয়। আজকে সংকট দূর করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের অর্জিত স্বাধীনতা কেউ আবার কেড়ে নিতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শ্রমিক কল্যাণের নেতাকর্মীদের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পাহারা দিতে হবে।
ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, ফেডারেশনের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মো. তসলিম, মাস্টার শফিকুল আলম, কবির আহমদ, মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, মনসুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।