ইতিহাসে এখনো সবচেয়ে বড় অর্জন ৭১: মিরাজ মিয়া
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ-মুখপাত্র মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে একটি বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা হচ্ছে আমরা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করি না, কিংবা মুক্তিযুদ্ধকে মানি না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জাতীয় নাগরিক কমিটি বিশ্বাস করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন ৭১। অর্থাৎ ৭১’র মতো অর্জন ও গৌরব আমাদের ইতিহাসে আর আসবে না।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘চাঁদপুর রাইজিং’ মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যেটা বিশ্বাস করি- ভাষা আন্দোলন, সালাম-জব্বার, রফিক থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া, ৯১ এর স্বৈরাচার আন্দোলনে শহীদ নুর হোসেন। এসব শহীদদের যে রক্ত, এই রক্তের যদি মূল্যায়ন করা হতো তাহলে ২৪ এসে আবু সাঈদ এবং মুগ্ধের মতো ২ হাজার লোককে জীবন দিতে হতো না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে যেসব লোকজন সংস্কার করতে চায়, সেই মানুষগুলোকে আমরা একত্রিত করার চেষ্টা করছি। যেসব মানুষগুলোকে নিয়ে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার বিপ্লব ঘটাতে পারবো। আমাদের ডাক্তার উইং আছে, যাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে সব দুর্নীতি সংস্কার করে নতুনভাবে সাজাতে পারবো এবং আমরা ডাক্তারদেরকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি।
মিরাজ মিয়া বলেন, যারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রশ্নে এক, তাদের সবাইকে একই সুতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এই সুতার মধ্যে সেখানে ডান থাকবে, বাম থাকবে, সেখানে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী একজন মুসলিম থাকবে, হিন্দু সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তি থাকবে, একইসঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিও থাকবে। আমরা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, সেখানে রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করা হবে না। সবার ধর্মকে সম্মান করা হবে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে একত্রিত হওয়ার অনুরোধ জানান মিরাজ মিয়া।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চাঁদপুরের প্রতিনিধি ও শিক্ষক নিয়াজ মোরশেদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ডা. তাজনুভা জাবীন, সদস্য মো. ইব্রাহীম খলিল, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদি হাসান তানিম, খিলগাঁও থানা নাগরকি কমিটির প্রতিনিধি মো. নাজির হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন আন্দোলনে আহতদের মধ্য থেকে নাইম ইসলাম, এনাম খান, জাহিদ পাটোয়ারী। চাঁদপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতিনিধি কচুয়া উপজেলার আহমেদ সজীব, হাজীগঞ্জ থেকে আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন, ফরিদগঞ্জ থেকে আশরাফ উদ্দীন আরমান, মুজাহিদ সিহাব, ব্যবসায়ী মো. সাইফুদ্দিন সিকদার, শিক্ষার্থী তামিম, মো. রবিউল, রাহাত ইবনে রুবেল প্রমুখ।