বছর শেষে রিজার্ভে স্বস্তি,রিজার্ভ ছাড়াল ২১ বিলিয়ন ডলার
প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের ৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত রবিবার যা ছিল ২০.১৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ের দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ নেমেছিল ১৮.৪৬ বিলিয়নে।
এ নিয়ে ১৮ দিনে রিজার্ভে নতুন করে যোগ হলো ২.৮৭ বিলিয়ন ডলার। শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের আরো এক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এর পর থেকে কমতে কমতে গত জুলাইতে ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।
প্রতি মাসে গড়ে ১.৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমছিল।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে না কমে বরং বাড়ছে। মূলত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা, রিজার্ভ থেকে ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে হুন্ডি চাহিদা কমে এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আবার জুলাই-নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার।
আগের বছরের এই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। এর মানে পাঁচ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১.৭৬ শতাংশ।
এসব কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। বর্তমানের এই রিজার্ভ আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক ওপরে। আইএমএফ চলতি ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫.৩০ বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল।
নিট রিজার্ভ এরই মধ্যে ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পরিষদ বাংলাদেশের অনুকূলে এক বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। এই ঋণের অর্থ পেলে রিজার্ভ আরো বাড়বে। বাংলাদেশের জন্য যা স্বস্তির খবর।