বেলারুশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া রাশিয়ার

 বেলারুশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া রাশিয়ার

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র কীভাবে মোতায়েন করতে হয় সে বিষয়ে দ্বিতীয় ধাপের মহড়া করেছে রাশিয়া। তাদের এই মহড়ায় বেলারুশের সেনারাও অংশ নেয়। মূলত পশ্চিমা শক্তির হুমকির বিরুদ্ধেই এই মহড়ার আয়োজন করে রাশিয়া।

রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্ররা বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে আসছেন।

মহড়ার প্রথম পর্যায়ে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রকে কীভাবে সশস্ত্র ও মোতায়েন করতে হয় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে অস্ত্রে সজ্জিত করতে হয় তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে বেলারুশের সেনার অংশ নেয়। এতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন নিয়ে অনুশীলন হয়।

মহড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। ইউরোপী ইউনিয়ন ও ওয়াশিংটন যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা উসকানিমূলক।

যদিও শুক্রবার (৭ জুন) পুতিন বলেন, ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই।

সেন্ট পিটার্সবার্গের ইকোনমিক ফোরামে রাশিয়ার এক প্রভাবশালী বিশ্লেষক প্রশ্ন করেন ইউক্রেন ইস্যুতে পারমাণবিক পিস্তল ধরা হবে কি না। জবাবে পুতিন বলেন, এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের কোনো পরিস্থিতি দেখছি না।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে। যেমন সার্বভৌমত্ব ও দেশের অখণ্ডতার ওপর হুমকি তৈরি হলে। কিন্তু আমি মনে করি না এ ধরনের সময় এসেছে। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।