রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত সিমেন্টশিল্প
প্রথম নিউজ, অনলাইন: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি সিমেন্টশিল্পেও পড়েছে। নির্মাণ ও আবাসন খাত বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সিমেন্ট শিল্প সামগ্রীর বাজারও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-১-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেঘনা সিমেন্ট মিলসের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী।
মেঘনা সিমেন্ট মিলস পিএলসির ৩২তম এই বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কম্পানির বার্ষিক বিবরণী, আর্থিক হিসাব ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সিমেন্টশিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশা করেছিল, সিমেন্ট ও নির্মাণসামগ্রী উত্পাদন শিল্পের দৃশ্যমান উন্নতি হবে। কিন্তু সিমেন্ট শিল্প সামগ্রীর বাজার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর আর্থিক সংকট ও পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপড়েনের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহেও বড় ঘাটতিতে ছিল, যা সিমেন্টশিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বেশ বড় বাধা তৈরি করেছে। এ সময় দেশের বেসরকারি খাতের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রটিতে দৃশ্যমান স্থবিরতা ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কম্পানির উত্পাদন-বিক্রিসহ সব কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত অর্থবছরে মেঘনা সিমেন্ট মিলসের পরিচালন লাভ হওয়া সত্ত্বেও ব্যাবসায়িক নিট ক্ষতি হয়েছে।
ফলে পরিচালকমণ্ডলী আলোচ্য আর্থিক বছরের ব্যাবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে গত অর্থবছরে কোনো প্রকার লভ্যাংশ প্রস্তাব না করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যাবসায়িক সব নেতিবাচক প্রভাব ও অবস্থা কাটিয়ে ওঠার মাধ্যমে এই কম্পানি আগের মতো সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ প্রস্তাব করতে সমর্থ হবে।’
সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ ছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেঘনা সিমেন্ট মিলসের পরিচালক ইমরুল হাসান, নিরপেক্ষ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল করিম, কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মোহম্মদ কামরুল হাসান, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও কমপ্লায়েন্সের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, সচিব (হাই, এফসিএস) নাসিমুল প্রমুখ। সভায় পর্যবেক্ষক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএসইসি, ডিএসই, সিএসইর প্রতিনিধিরা।