জমির বিরোধে মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা হলেও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

জমির বিরোধে মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: মাদারীপুরে জমির বিরোধে মা ও ছেলেকে গাছে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে। শিবচর থানার নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা হলেও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা। যদিও এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিবচরের নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি গ্রামের মৃত আনোয়ার মাদবরের স্ত্রী আছুরা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী রশিদ মাদবরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেন আছুরা। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এরই জেরে গত বুধবার রাতে রশিদ মাদবর তার ছেলেদের নিয়ে আছুরার বসতঘরে হামলা চালায়। পরে মারতে মারতে আছুরা ও তার ছেলে সাজ্জাদ মাদবরকে ঘর থেকে বাইরে বের করে আনেন রশিদ মাদবর।

এরপর রশি দিয়ে মা ও ছেলেকে উঠানের পাশের গাছের সঙ্গে বেঁধে মুখের ভেতর কাপড় ভরে দেন প্রতিপক্ষ। লাঠিসোঁটা দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আছুরা ও সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, এমনভাবে মা ও ছেলে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা আগে কেউ কোনো দিন দেখেনি। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় রশিদ মাদবর ও তার ছেলে অসহায় পরিবারটির ওপর এমন নির্যাতন করার সাহস পেয়েছে। এর কঠিন বিচার হলে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবে না।

মাদারীপুরের শিবচর থানার ওসি মোক্তার হোসেন কালবেলাকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।