মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগের: বিএনপি
সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের বিচার বহির্ভুত সংস্কৃতি চালু রেখেছেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগের বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকারের এ ধরনের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদেরকে অংশীদারি পরিণত করে নানা ধরনের বিচার বহির্ভুত সংস্কৃতি চালু করতে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে পুলিশ বা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীসমূহ সামরিক এবং বেসামরিক বাহিনী সমূহের কর্মকর্তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানাতে আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি 'গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের' অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক নির্বাহী আদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক সহ র্যাবের ৬ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর আর্থিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন রাজস্ব মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে৷ এ সম্পর্কিত মার্কিন রাজস্ব বিভাগের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে ব়্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ সহ আইনের শাসন, মানবাধিকার, বিভিন্ন মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকিতে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ছয় শতাধিক গুম, ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ৬০০ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং নির্যাতনে ব়্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায় রয়েছে৷ বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের এইসব ঘটনায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলেও কিছু প্রতিবেদনে উঠে এসেছে৷ মূলত এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮১৮ এর অধীনে বিদেশি সংস্থা হিসাবে ব়্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন রাজস্ব মন্ত্রণালয়৷উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবরে, সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির প্রতিনিধিত্বকারী রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের দশজন বিশিষ্ট সিনেটর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে র্যাবের দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানিয়েছিলেন । জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়, ওএইচসিএইচআর সহ অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলিও সরকারকে র্যাবের লাগাতার নৃশংস নিপীড়ন কার্যক্রম যেমনঃ গুম, ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা,এর সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধানতম বন্ধুপ্রতীম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক কৌশলগত অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এধরনের নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত বিব্রতকর ও উদ্ধেগজনক। তবে তা ছিলো নিঃসন্দেহে অবশ্যম্ভাবী। কারণ, গত এক দশক ঢোঁড়ে বিএনপি সহ বাংলাদেশের প্রায় সকল গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড,গুম,খুন ও ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে দেশের ভেতরে ও বহির্বিশ্বের নানা আন্তর্জাতিক ফোরামে ব্যাপকভাবে আলোচিত।এ প্রসঙ্গে আমাদের সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলীর ঢাকা শহর থেকে গুম হয়ে যাওয়ার কথা। নিশ্চয়ই আমাদের মনে আছে,বাংলাদেশ সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতকালে ইলিয়াস শিশুকন্যা ছোট্ট সাইয়ারা নাওয়ালের পিতাকে ফিরে যাওয়ার জন্য কাঁচা হাতের লেখায় চিঠির মাধ্যমে আকুতি জানানোর কথা। নিশ্চয়ই মনে আছে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের হারিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে ভারতের মেঘালয়ে পথে পথে হেটে বেড়ানোর সংবাদ প্রকাশের কথা। আমরা নিশ্চয়ই বিস্মৃত হয়ে যাইনি ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের কথা। ৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর কাজলকে গত বছরের ৩ মে ভারতের সীমান্তবর্তী বেনাপোলে খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের সকলের কানে এখনো বাজে ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের বেঁচে থাকার তীব্র আকুতির কথা।কক্সবাজারে পুলিশ Kg©KZ©vi হাতে অবসর প্রাপ্ত সেনা Kg©KZ©v সিনাকে সরাসরি গুলি করে হত্যা কথা আমরা ভুলিনি।এই ধরনের অনেক হত্যা কান্ড সংঘটিত হয়েছে র্যাব এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর দ্বারা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে একটি পরাশক্তি রাষ্ট্র কর্তৃক বড় ধরনের মানবাধিকার লংঘনকারী হিসাবে চিন্হিত হওয়ায় fwel©‡Z জাতি সংঘের শান্তি মিশনে মোতায়েনও প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর উপরে নীতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।সাম্পতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়তই পুলিশ বা র্যাব সদস্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার বা পলাতক ব্যক্তিদের 'বন্দুকযুদ্ধের' সংবাদ প্রচারিত হয়ে।এমনকি মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে সমগ্র জনগণের মাথা যখন বিশ্ববাসীর কাছে হেঁট হয়ে আছে সেই মুহূর্তে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধকে আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। যদিও পুলিশ বলছে, তিনি লক-আপের ভেতর 'আত্মহত্যা' করেছেন। তবে পরিবারের দাবি,তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করলে ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অনুধাবন করা যাবে।আনত্ররজাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচ আর ডাব্লিউ) বাংলাদেশে সঙ্ঘটিত গুমের ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের তদন্ত কার্যক্রমে প্রমাণ করে দেখায় ৮৬টি গুমের ঘটনার প্রতিটি গুমের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো পোশাকসহ অন্যান্য পন্য, শ্রমশক্তি, নিরাপত্তা সার্ভিস রপ্তানি নির্ভর দেশের জন্য মার্কিন সরকার কর্তৃক দেশের অন্যতম প্রধান আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে এর ফলে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশ ও নাগরিক সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে। যা বিদেশী বিনিয়োগ সহ নানা ধরনের আর্থনৈতিক ও দৈনন্দিন সহযোগিতা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। বিশেষ করে, জাতিসঙ্ঘ,বিশ্বব্যাংক,আইএমএফসহ নানা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও শান্তিপ্রিয় দেশের কাছে বাংলাদেশের ইমেজ ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হবে। অথচ এরকম পরিস্থিতি লাগাতারভাবে জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী বর্তমান অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগকে 'কাল্পনিক অভিযোগ' বলে উড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি এক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন মানবাধিকার পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মুল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার গতানুগতিক অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের মন্তব্য,বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে যেন, হঠাৎ করে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অথচ,প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসেই এ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিচারবহির্ভুত হত্যা,গুম,নির্যাতন সম্পর্কে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যথারীতি তা প্রত্যাখান করে এধরনের অপরাধকে অধিক হারে উৎসাহিত করা হয়। সবচেয়ে নৈরাশ্যজনক বিষয় হচ্ছে, সরকারের তরফ থেকে গত প্রায় ১ দশক যাবৎ র্যাব,পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি সহ ভিন্নমতের মানুষদের গুমের সংস্কৃতি চালু রেখেছে সেটাকেই তারা অস্বীকার করে চলেছে। মুলতঃ সরকারের বিচারবহির্ভুত হত্যাকে অস্বীকার করার ফলাফলই হচ্ছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা।
মির্জা ফখরুল বলেন, রূঢ় শোনালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই, 'গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের' অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমান চলমান গণ ও মানবতা বিরোধী সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিসালী বার্তা। আর সেটা হলো কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না।কেবলমাত্র একটা অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনকালেই এধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আর বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে সেরকমই একটি কর্তৃত্ববাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতি আশ্রয়ী সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিএনপি মনে করে র্যাবের উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সকল দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষে আইন শৃংখলাকারী বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করার সকল দায়িত্ব তাদেরই। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক আয়োজিত ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র সম্মেলন’ এ বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে দিয়ে তা আরো সুস্পষ্ট হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে চলমান নির্বাচনহীন সংস্কৃতি দিনের ভোট রাতে লুটের সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার জন্য তারা র্যাবকে সহ আইন শৃংখলা বায়হিনীকে অত্যন্ত নগ্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভি্যোগ ক্যার্যত রাজনৈতিক সরকারের দায়। তাই র্যাবের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা তা এক অর্থে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞার শামিল। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রহীন সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য র্যাবকে বিভিন্ন আইন বিরোধী সংস্কৃতির অংশ হতে বাধ্য করেছে। অতএব, কার্যত রাজনৈতিক সরকারগুলো দায় বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান দেয়া যাবে না। তবে যারা ইতিমধ্যেই সরকারের এ ধরনের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদেরকে অংশীদারি পরিণত করে নানা ধরনের বিচার বহির্ভুত সংস্কৃতি চালু করতে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে পুলিশ বা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীসমূহ সামরিক এবং বেসামরিক বাহিনী সমূহের কর্মকর্তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগের।
সবশেষে,বাংলাদেশের সমগ্র মানুষের সামনে এটা একটা জাতীয় সমস্যা। আর জাতীয় সমস্যা জাতীয়ভাবে সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হয়। আর সেটা তখন কেবল তখনই সম্ভব, যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে। কারণ,গণতন্ত্রবিহীন সমাজে জবাবদিহিতা প্রতিটি পদে পদে বিঘ্নিত হয়,এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান। মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কখোনোই সুনিশ্চিত থাকে না। বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় বিদেশ প্রেরণে সরকারের প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি তার সর্বশেষ উদাহরণ।
তাই, দেশে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজনের পথ পরিস্কার করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক ব্যবস্থা করে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশে মানবাধিকার ও বিচার পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনকালে এটাই হতে পারে সমগ্র দেশ বাসীর জন্য সর্বোত্তম প্রাপ্তি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: