দুই পায়ে গুলির পর কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করা হয় হাতের আঙুল

দীর্ঘ ৯ বছর পর গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে লোমহর্ষক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ানপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা কামরুল হাসান।

দুই পায়ে গুলির পর কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করা হয় হাতের আঙুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা কামরুল হাসানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ কামরুলের দুই পায়ে গুলি করার পর আওয়ামী লীগের লোকজন কুপিয়ে তাঁর হাতের অন্তত চারটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এর মধ্যে তিনটি আঙুল পরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয়। কিন্তু কেটে ফেলতে হয় কামরুলের একটি পা। গুলিবিদ্ধ অন্য পা এখনও নিয়মিত ড্রেসিং করতে হচ্ছে। পঙ্গু অবস্থায়ও শান্তিতে ছিলেন না মানুষটি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ৯ বছরে দেওয়া হয়েছে আরও সাতটি মিথ্যা মামলা। দীর্ঘ ৯ বছর পর গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে লোমহর্ষক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ানপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা কামরুল হাসান।

শনিবার ৯ বছর আগের ওই বিভীষিকাময় ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ১০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নে সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাই। দুপুরের দিকে রাউজান থানার তৎকালীন এসআই টুটন মজুমদারের নেতৃত্বে কয়েক পুলিশ সদস্য আমার মেয়ের বাড়িতে হাজির হন। তাদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সন্ত্রাসী। সেখান থেকে তারা আমাকে তুলে নিয়ে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখে। রাত ১২টার পর তারা আমাকে গ্রামের দুই কিলোমিটার দূরের সূর্য সেন পল্লি এলাকার দিঘির পশ্চিম পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ আমার দুই পায়ে গুলি করার পর সন্ত্রাসীরা দুই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে দেয়। পরদিন ঘটনাটিকে বন্দুকযুদ্ধ দাবি করে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠায়। পুলিশ দাবি করে, আমার কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 

কামরুল হাসান অভিযোগ করেন, আমি বিএনপি নেতা সাবেক এমপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর কর্মী হওয়ার কারণেই নির্যাতন করে আমার জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে একাধিক মিথ্যা মামলায়।