বিয়ের দাবিতে থানায় নিলো প্রেমিকা

প্রেমিকার দাবি- বিয়ের কথা বলে তিন বছরের অধিক সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন তারা।

বিয়ের দাবিতে থানায় নিলো প্রেমিকা
বিয়ের দাবিতে থানায় নিলো প্রেমিকা

প্রথম নিউজ, পাবনা : বিয়ে না করায় প্রেমিককে জনসম্মুখে গণধোলাই দিয়ে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিলেন এক প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি- বিয়ের কথা বলে তিন বছরের অধিক সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন তারা। পরে বিয়ে না করে তার উপার্জিত নগদ টাকা হাতিয়ে   নিয়ে তাকে ছেড়ে লাপাত্তা হোন অভিযুক্ত প্রেমিক। অভিযুক্ত প্রেমিক এর নাম নুরুল ইসলাম শাওন। সে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকায়। বাবার নাাম মো. শহীদুল ইসলাম। ভুক্তভোগী রূপা  ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মী। তার বাড়ি ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী নাটোরের সিংড়া এলাকায়। গতকাল এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় এখন টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল  এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রূপা খাতুনের দাবি- ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান।

একপর্যায়ে দু’জনে ঘুরতে বের হয়ে দাশুড়িয়ার একটি কাগজ মিলে প্রথম রূপার সঙ্গে দৌহিক সম্পর্ক গড়েন শাওন। রূপার দাবি সেদিন তাকে ধর্ষণ করে। সে সময় রূপা ধর্ষণের অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিষয়টি শাওনের বাবা, মাকে জানান। তার বাবা-মা  ও বোনসহ রূপাকে তাদের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবেন শর্তে অভিযোগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রূপা। এরপর তাদের অবাধে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। সম্পর্কের নানা টানাপড়েনে আবারো ফাটল ধরে তাদের সম্পর্কে। এবার রূপাকে বশ করতে শাওনের বাবা-মা তাদের ঈদগাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানেই বিবাহ বাদেই ছেলে মেয়েকে অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেন পরিবার। কয়েক মাস পর ছাত্রলীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রূপাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শাওনের পরিবার।

রূপা দাবি করেন- তিনি আবারো আইনের শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে শাওন কৌশলে তাদের বিশেষ মুহূর্তের সময় তৈরি করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে। সেই হুমকি আর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে রূপার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। গত মঙ্গলবার শাওনকে বাস টার্মিনালে পেয়ে আটক করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে শাওনের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শাওন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রেমিক ও স্থানীয় লোকজন তাকে গণধোলাই দেন। পরে তাকে নিয়ে থানায় যান প্রেমিকা। সেখানে দুইজনের মধ্যে কেউ লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। পরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত প্রেমিকা ও ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম শাওনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে  ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়েরই কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ। সঙ্গত কারণেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

 Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: