বাপের বাড়ি একা যেতে না দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট পত্নীর আত্মহত্যা

দুপুরে খাওয়ার টেবিলে স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তার কথা হয়। সে চেয়েছিল একা যেতে।

বাপের বাড়ি একা যেতে না দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট পত্নীর আত্মহত্যা
একা যেতে না দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট পত্নীর আত্মহত্যা

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : পিতার বাড়ি মাগুরায় একাই যেতে চেয়েছিলেন অনামিকা (২১)। আর স্বামী বলছিলেন সেখান থেকে কেউ এলে তার সঙ্গে যেতে। দুপুরের খাবার টেবিলে এনিয়ে দু’জনের কথা হয়। এরপরই অনামিকা নিজের শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানে ফাঁস লাগান। পরে আনসারের সহায়তায় দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২২শে মে এই ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের পত্নী অনামিকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তারা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। ডিএমপি’র তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান, রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনামিকা মারা যান বলে জানিয়ে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছে বলে জানান তিনি। 

মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করছেন তারা। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশিষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ২৩শে মে সন্ধ্যায় অনামিকাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ২২শে মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের সরকারি ডরমেটরিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনামিকা।  তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে, এরপর শহরের নিউ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, দুপুরে খাওয়ার টেবিলে স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তার কথা হয়। সে চেয়েছিল একা যেতে। স্বামী একা যেতে বারণ করায় সে খাবার টেবিল থেকে উঠে নিজের থাকার ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগায়। কাজের মেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে এই অবস্থা দেখে জানালে পার্শ্ববর্তী আনসার ক্যাম্পের আনসারদের সহায়তা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom