উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে রাশিয়া জড়িত, মন্তব্য ইলহাম আলিয়েভের

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আলিয়েভ বলেছেন, ‘‘আমাদের  উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনাবশত গুলির কবলে পড়েছিল।’’

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে রাশিয়া জড়িত, মন্তব্য ইলহাম আলিয়েভের

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় রাশিয়া জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তিনি বলেছেন গত সপ্তাহে যে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জন নিহত হয়েছিলেন; সেই উড়োজাহাজটি রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আলিয়েভ বলেছেন, ‘‘আমাদের  উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনাবশত গুলির কবলে পড়েছিল।’’ রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গ্রোজনির দিকে যাওয়ার সময় উড়োজাহাজের জিপিএস সিস্টেমগুলোতে ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আজারবাইজানের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত প্রথম তিন দিনে আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে কেবল অযৌক্তিক বক্তব্য শুনেছি। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিবৃতিগুলোতে পাখির আঘাত অথবা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলা হয়েছিল। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আলিয়েভের। মস্কোর শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন তিনি। পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র বলেন, ‘‘আমরা রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি।’’
উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ঘটনায় রাশিয়া দোষ স্বীকার করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ক্রেমলিন বলেছে, রবিবারও পুতিন ও আলিয়েভের মাঝে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে। তবে এ দুই রাষ্ট্রনেতার মাঝে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি ক্রেমলিন। 
গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এমব্রায়ার-১৯০ সিরিজের জে২-৮২৪৩ উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের রাজধানী গ্রোজনির দিকে রওনা হয়েছিল। সেদিন গ্রোজনিতে ব্যাপক কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ে অস্পষ্ট হওয়ায় ফের বাকুর দিকে ফিরে আসছিল বিমানটি। পথে কাজাখস্তানের আকতাউ শহরে বিধ্বস্ত হয় সেটি। এতে উড়োজাহাজের ৬৭ আরোহীর মধ্যে অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স