সেনবাগ বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ
প্রথম নিউজ, ঢাকা: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বাতিল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি কর্তৃক গায়েবি ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি'র তৃণমূল নেতারা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে এ স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
এরপর তারা জাতীয় প্রেসকবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতেও এ স্মারকলিপি তুলে দেন এবং দলের মহাসচিব কে উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। জবাবে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ও বিষয়টি দেখবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্লাহ বিএসসি, মমিন উল্লাহ চেয়ারম্যান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াসসহ আরো অনেক উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি'র তৃনমুল নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, গত শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সেনবাগের ইয়ারপুর গ্রামস্থ এমপি ভিলায় একই বিষয়ে প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বিএনপি।
আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন উল্লাহ বিএসসি ওই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ৫ দফা আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়। এতে ছিল- আগামী ১৪ দিনের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ উপজেলা এবং ঘোষিত ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করতে হবে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির যোগ্য সাংগঠনিক এবং আন্দোলন মুখি এবং হামলা মামলার শিখার নেতাকমীদের অন্তভুক্ত করতে হবে। সমন্বয়ের নামে যোগ্য ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ভাগাভাগির কমিটি মেনে নেওয়া হবে না। এবং ওয়ার্ড থেকে উপজেলা পর্যায়ে সকল স্তরের গণতান্ত্রিক পর্যায়ে স্বচ্ছভাবে সরাসরি তৃণমূল নেতাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কমিটি করতে হবে।
আমিন উল্লাহ বিএসসি জানান, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমের নির্দেশে সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এরপর ৬ মাস পর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন করার জন্য ওবায়দুল হককে আহ্বায়ক এবং মোক্তার হোসেন ইকবালকে সদস্য সচিব করে উপজেলা এবং আবদুল হান্নান লিটনকে আহ্বায়ক ও বাবুলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে পৌরসভা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার ১৯ মাস গত হলেও ওই কমিটিগুলো নিজেদের পরিচিতি সভাও করতে পারেনি।
তিনি জানান, ৩ মাসের মেয়দ উত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি ১৯ মাস পর আহ্বায়ক কমিটির কোন মিটিং ছাড়াই গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে গায়েবি কমিটির ঘোষণা করে, যা ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সহ ১১ জনের কেউ অবগত নয়।
এ ছাড়াও ওই ঘোষিত কমিটিতে রাখা হয়েছে যিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন লোক ও জামায়াতের সক্রিয় রাজনীতি করে এমন দুইজনকে।
ইতিমধ্যে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কমিটির অপর সদস্যের সঙ্গে কোন রকম পরামর্শ না করে একক ক্ষমতা বলে ৯টি ইউনিয়নের গায়েবি কমিটি ঘোষণা করায়। এর প্রতিবাতে উপজেলা ৬০ সদস্য বিশিষ্ঠ আহ্বায়ক কমিটির থেকে ৩৬ জন পদত্যাগ করেন এবং দুইজন সদস্য মৃত্যু বরণ করেছে।